ফরাসি স্টার্টআপ Ÿnsect, যারা ২০২১ সালের সুপার বোল উইকেন্ডে রবার্ট ডাউনি জুনিয়রের সমর্থন পাওয়ার পরে খ্যাতি অর্জন করেছিল, দেউলিয়া হওয়ার কারণে বিচার বিভাগীয় অবসায়নে (judicial liquidation)-এ প্রবেশ করেছে, যা দেউলিয়াত্বের ফরাসি প্রতিশব্দ। ডাউনি জুনিয়রের ফুটপ্রিন্ট কোয়ালিশন এবং করদাতাদের তহবিল সহ বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ৬০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থ সংগ্রহের পরেও কোম্পানির পতন কয়েক মাসের আর্থিক সংগ্রামের ফল।
Ÿnsect কীট-ভিত্তিক প্রোটিন উৎপাদনের মাধ্যমে খাদ্য শৃঙ্খলকে রূপান্তরিত করার লক্ষ্য নিয়েছিল, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাদের লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে। কোম্পানিটি প্রাথমিকভাবে পশু খাদ্য এবং পোষা প্রাণীর খাদ্য বাজারের উপর মনোযোগ দিলেও, এই দুটির মধ্যে অগ্রাধিকার দিতে সমস্যায় পড়ে, যার ফলে কৌশলগত চ্যালেঞ্জ দেখা দেয়। এই দ্বিধা তাদের মার্জার এবং অধিগ্রহণ কৌশলের ক্ষেত্রেও প্রসারিত হয়েছিল।
২০২১ সালে, Ÿnsect প্রোটিফার্ম নামক একটি ডাচ কোম্পানিকে অধিগ্রহণ করে, যারা মানুষের ব্যবহারের জন্য mealworm উৎপাদনে বিশেষজ্ঞ, যা তাদের পোর্টফোলিওতে তৃতীয় একটি বাজার যুক্ত করে। এই সম্প্রসারণ কোম্পানির মনোযোগ এবং সম্পদ বরাদ্দকে আরও জটিল করে তোলে।
কোম্পানির মূল প্রযুক্তি ছিল পোকামাকড়, বিশেষ করে mealworm ব্যবহার করে কৃষি উপজাতকে উচ্চ-প্রোটিন পশু খাদ্যে রূপান্তরিত করা। এই প্রক্রিয়ার লক্ষ্য ছিল সয়াবিন এবং ফিশমিলের মতো ঐতিহ্যবাহী প্রোটিনের বিকল্প সরবরাহ করা, যেগুলোর উল্লেখযোগ্য পরিবেশগত প্রভাব রয়েছে। Ÿnsect-এর উৎপাদন সুবিধাগুলি পোকামাকড় প্রতিপালন, খাওয়ানো এবং সংগ্রহের জন্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে ডিজাইন করা হয়েছিল, যা দক্ষতা বৃদ্ধি এবং শ্রম খরচ কমিয়ে আনে।
Ÿnsect-এর ব্যর্থতা অভিনব খাদ্য প্রযুক্তিকে বৃহৎ পরিসরে উন্নীত করা এবং জটিল বাজারের গতিবিধি মোকাবিলার চ্যালেঞ্জগুলোকে তুলে ধরে। কোম্পানিটির লক্ষ্য বাজারকে স্পষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত করতে এবং কার্যকরভাবে এর সম্প্রসারণ পরিচালনা করতে না পারার কারণে আর্থিক অসুবিধা দেখা দেয়। এই দেউলিয়াত্ব বিশ্ব খাদ্য নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জের একটি বৃহৎ-স্কেল সমাধান হিসাবে কীট চাষের কার্যকারিতা নিয়েও প্রশ্ন তোলে।
বিচার বিভাগীয় অবসায়ন প্রক্রিয়ার মধ্যে Ÿnsect-এর সম্পদ এবং দায় মূল্যায়ন করা হবে এবং ঋণদাতাদের জন্য সর্বোত্তম পদক্ষেপ নির্ধারণ করা হবে। কোম্পানির সুবিধা এবং প্রযুক্তির ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত।
Discussion
Join the conversation
Be the first to comment