মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেথ নিশ্চিত করেছেন যে যুক্তরাষ্ট্র উত্তর-পশ্চিম নাইজেরিয়ায় আইএসআইএল (ISIS)-এর লক্ষ্যবস্তুতে ধারাবাহিক বিমান হামলা চালিয়েছে। তিনি দাবি করেছেন, এই পদক্ষেপের উদ্দেশ্য ছিল গোষ্ঠীটির খ্রিস্টানদের হত্যা বন্ধ করা। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে এই হামলাগুলো নভেম্বরে দেওয়া একটি সতর্কবার্তার ধারাবাহিকতায় করা হয়েছে, যেখানে যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছিল যে নাইজেরিয়ার সরকার খ্রিস্টানদের লক্ষ্যবস্তু বানানো বন্ধ করতে না পারলে তারা হস্তক্ষেপ করবে।
হেগসেথের মতে, এই হামলার ঘোষিত উদ্দেশ্য হলো অঞ্চলে আইএসআইএল-এর উপস্থিতি মোকাবেলা করা এবং খ্রিস্টান সম্প্রদায়কে রক্ষা করা। তবে, হামলার সময় এবং এর পেছনের উদ্দেশ্য নিয়ে অনেক সমালোচনা হচ্ছে, অনেকের ধারণা ট্রাম্প তার নিজ দেশের ডানপন্থী খ্রিস্টানদের সমর্থন পাওয়ার জন্য এই পদক্ষেপ নিতে প্রভাবিত হয়েছেন।
নাইজেরিয়ার পরিস্থিতি একটি জটিল ধর্মীয় কাঠামো দ্বারা চিহ্নিত, যা মার্কিন হস্তক্ষেপের সম্ভাব্য পরিণতি সম্পর্কে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। কেউ কেউ বিমান হামলাকে স্বাগত জানালেও, অন্যরা আশঙ্কা করছেন যে এটি বিদ্যমান উত্তেজনা বাড়িয়ে তুলতে পারে এবং অঞ্চলটিকে আরও অস্থিতিশীল করতে পারে। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলছেন যে শুধুমাত্র সামরিক পদক্ষেপ নাইজেরিয়ার নিরাপত্তা সংকট সমাধান করতে পারবে না এবং সম্ভবত পরিস্থিতি আরও খারাপ করতে পারে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এই হামলার অনুমোদন দেওয়ার সিদ্ধান্তটি তার প্রশাসনের ধর্মীয় স্বাধীনতা এবং সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করার ফল। নভেম্বরে, ট্রাম্প জোর দিয়ে বলেছিলেন যে নাইজেরিয়ার সরকার খ্রিস্টানদের লক্ষ্যবস্তু বানানো বন্ধ করতে ব্যর্থ হলে যুক্তরাষ্ট্র ব্যবস্থা নেবে।
মার্কিন সামরিক বাহিনী উত্তর-পশ্চিম নাইজেরিয়ায় হামলার পর একটি ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করেছে। নাইজেরিয়া এবং বৃহত্তর অঞ্চলের নিরাপত্তা পরিস্থিতির উপর এই হামলার দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব এখনও দেখার বিষয়। বিশ্লেষকরা হামলার কার্যকারিতা এবং যুক্তরাষ্ট্র-নাইজেরিয়া সম্পর্কের উপর এর প্রভাব মূল্যায়ন করার সাথে সাথে আরও উন্নয়নের প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
Discussion
Join the conversation
Be the first to comment