শনিবার ভারী বৃষ্টি ও প্রবল বাতাস সহ একটি পোলার নিম্ন-চাপ ব্যবস্থা গাজা উপত্যকার উপর দিয়ে বয়ে যায়, যা বাস্তুচ্যুত পরিবারগুলোর জন্য ইতিমধ্যেই শোচনীয় জীবনযাত্রার পরিস্থিতিকে আরও খারাপ করে তুলেছে। আবহাওয়াবিদ লায়েথ আল-আল্লামি আনাদোলু নিউজ এজেন্সিকে বলেছেন যে, এই শীতে এটি তৃতীয়বারের মতো ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে আঘাত হানা এই ধরনের আবহাওয়ার ঘটনা, সোমবার থেকে চতুর্থ আরেকটি সিস্টেম আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
সংঘাতের সময় তাদের বাড়িঘর ধ্বংস বা বসবাসের অযোগ্য হওয়ার পর থেকে অনেক পরিবার অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র ও তাঁবুতে বসবাস করছে। পর্যাপ্ত অবকাঠামো ও নিষ্কাশন ব্যবস্থার অভাবে সমস্যা আরও বেড়েছে, যার ফলে ব্যাপক বন্যা ও অস্বাস্থ্যকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এই পরিস্থিতি পানিবাহিত রোগ এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য ঝুঁকির বিস্তার নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে, বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের মতো দুর্বল জনগোষ্ঠীর মধ্যে।
চলমান ইসরায়েল-ফিলিস্তিনি সংঘাত গাজার মানবিক পরিস্থিতিকে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত করেছে। বছরের পর বছর ধরে অবরোধ ও সামরিক অভিযান স্থানীয় অর্থনীতি ও অবকাঠামোকে পঙ্গু করে দিয়েছে, যার ফলে বাসিন্দাদের পক্ষে প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং অন্যান্য জরুরি অবস্থা মোকাবেলা করা কঠিন হয়ে পড়েছে। আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থাগুলো বারবার গাজায় প্রবেশাধিকার বাড়ানোর এবং পুনর্গঠন প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করে এমন বিধিনিষেধ বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে।
জাতিসংঘ এবং অন্যান্য মানবিক সংস্থাগুলো বন্যা কবলিতদের খাদ্য, জল, আশ্রয় এবং চিকিৎসা সেবাসহ জরুরি সহায়তা প্রদানের জন্য কাজ করছে। তবে, প্রয়োজনের মাত্রা বিশাল এবং সম্পদ অপ্রতুল। আসন্ন নিম্ন-চাপ ব্যবস্থা ত্রাণ কার্যক্রমকে আরও জটিল করে তুলবে এবং গাজার বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের দুর্দশা আরও বাড়িয়ে দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।
Discussion
Join the conversation
Be the first to comment