নিউ ইয়র্কের গভর্নর ক্যাথি হোচুল সম্প্রতি একটি বিলে স্বাক্ষর করেছেন, যেখানে সামাজিক মাধ্যম প্ল্যাটফর্মগুলোকে অল্পবয়সী ব্যবহারকারীদের জন্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্লে হওয়া এবং অবিরাম স্ক্রলিংয়ের মতো বৈশিষ্ট্যগুলোর সম্মুখীন হওয়ার আগে সতর্কীকরণ বার্তা দেখাতে বলা হয়েছে। S4505A5346 নম্বরযুক্ত এই বিলটি জুনে রাজ্য আইনসভা কর্তৃক অনুমোদিত হয়েছিল এবং এটি "আসক্তি সৃষ্টিকারী" প্ল্যাটফর্মগুলোর উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে। এই প্ল্যাটফর্মগুলোকে আসক্তি সৃষ্টিকারী ফিড, পুশ নোটিফিকেশন, স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্লে হওয়া, অবিরাম স্ক্রল এবং লাইকের সংখ্যা—এগুলোর সেবার মূল উপাদান হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
আইনটিতে কিছু ব্যতিক্রমের সুযোগ রাখা হয়েছে, যদি অ্যাটর্নি জেনারেল মনে করেন যে এই বৈশিষ্ট্যগুলো প্ল্যাটফর্মের ব্যবহার বাড়ানোর সাথে সম্পর্কহীন কোনো বৈধ উদ্দেশ্যে কাজ করে। হোচুলের কার্যালয় অনুসারে, প্ল্যাটফর্মগুলোকে অল্পবয়সী ব্যবহারকারীদের এই বৈশিষ্ট্যগুলোর প্রথম ব্যবহারের সময় এবং পরবর্তীতে নির্দিষ্ট সময় পর পর সতর্কবার্তা দেখাতে হবে, যা এড়িয়ে যাওয়ার কোনো বিকল্প থাকবে না। এই ঘোষণাটি তামাক, অ্যালকোহল এবং ঝলকানি আলোযুক্ত মিডিয়ার মতো পণ্যের সতর্কীকরণ বার্তার সাথে তুলনীয়।
বিশেষজ্ঞদের উদ্বেগের মোকাবিলার জন্য এই সতর্কীকরণ বার্তাগুলো তৈরি করা হয়েছে। এদের মধ্যে প্রাক্তন সার্জন জেনারেল বিবেক মূর্তি ছিলেন, যিনি গত বছর সামাজিক মাধ্যম প্ল্যাটফর্মগুলোকে এই ধরনের সতর্কতা বাস্তবায়নের পক্ষে কথা বলেছিলেন। এর লক্ষ্য হল অল্পবয়সী ছেলে-মেয়েদের মধ্যে দীর্ঘ সময় ধরে সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারের কারণে সম্ভাব্য মানসিক স্বাস্থ্য ঝুঁকি কমানো।
বিলে "অল্পবয়সী ব্যবহারকারী" বলতে একটি নির্দিষ্ট বয়সের কম বয়সী ব্যক্তিদের বোঝানো হয়েছে, যদিও নির্দিষ্ট বয়সসীমা এবং সতর্কীকরণ বার্তার সঠিক শব্দগুলো পরবর্তী বিধি প্রণয়ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নির্ধারণ করা হবে। আইনটি অ্যাটর্নি জেনারেলকে "আসক্তি সৃষ্টিকারী" প্ল্যাটফর্ম হিসেবে চিহ্নিত করার জন্য এবং বৈধ ব্যবহারের ভিত্তিতে ব্যতিক্রম মঞ্জুর করার জন্য নির্দিষ্ট মানদণ্ড নির্ধারণের দায়িত্ব দিয়েছে।
নতুন আইনের প্রতি প্রযুক্তি শিল্পের প্রতিক্রিয়া এখনো দেখার বিষয়। কিছু শিল্প বিশ্লেষক মনে করেন যে প্ল্যাটফর্মগুলোকে মেনে চলার জন্য কিছু বৈশিষ্ট্য পুনরায় ডিজাইন করতে হতে পারে বা কঠোর বয়স যাচাইকরণ ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করতে হতে পারে। ব্যবহারকারীর সম্পৃক্ততা এবং বিজ্ঞাপনের রাজস্বের উপর এই আইনের প্রভাবও আলোচনার বিষয়।
পরবর্তী ধাপে অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় সতর্কীকরণ বার্তাগুলো বাস্তবায়নের জন্য নির্দিষ্ট নিয়মকানুন এবং নির্দেশিকা তৈরি করবে। এই প্রক্রিয়ায় সম্ভবত বিশেষজ্ঞ, অংশীজন এবং সামাজিক মাধ্যম প্ল্যাটফর্মগুলোর সাথে পরামর্শ করা হবে। আইনটির সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন এবং সামাজিক মাধ্যম প্ল্যাটফর্মগুলোতে সতর্কীকরণ বার্তা প্রদর্শনের সময়সীমা এখনো নির্ধারণ করা হয়নি।
Discussion
Join the conversation
Be the first to comment