সম্প্রতি গ্যালাপের একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, ১৫ থেকে ৪৪ বছর বয়সী মার্কিন নারীদের মধ্যে ৪০ শতাংশ সুযোগ পেলে স্থায়ীভাবে বিদেশে চলে যেতে চান। এই সংখ্যা ২০১৪ সাল থেকে দশগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে এই জনসংখ্যার জন্য একটি অনন্য প্রবণতা এবং নভেম্বর মাসে পরিচালিত সমীক্ষা অনুসারে অন্যান্য উন্নত দেশের অল্প বয়সী নারীদের মধ্যে দেখা যায় না।
দেশ ছেড়ে যাওয়ার আকাঙ্ক্ষা রাজনৈতিক পরিস্থিতির সঙ্গে সম্পর্কিত বলে মনে হয়, বিশেষ করে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রভাবের কারণে। ভক্সের সিনিয়র সংবাদদাতা কন্সট্যান্স গ্রেডি উল্লেখ করেছেন যে, ২০১৬ সালের গ্রীষ্মে এই প্রবণতা শুরু হয়েছিল, যা ট্রাম্পের রাষ্ট্রপতি পদে রিপাবলিকান প্রার্থী হিসেবে আত্মপ্রকাশের সঙ্গে মিলে যায়। বাইডেন রাষ্ট্রপতি থাকাকালীন দেশ ছেড়ে যাওয়ার আকাঙ্ক্ষা বাড়তে থাকলেও, যারা দেশের নেতৃত্বকে সমর্থন করেন এবং যারা করেন না তাদের মধ্যে ২৫-পয়েন্টের একটি উল্লেখযোগ্য ব্যবধান রয়েছে, যা থেকে বোঝা যায় ট্রাম্পের প্রভাব এখনও একটি কারণ।
সমীক্ষাটি অল্প বয়সী আমেরিকান নারীদের মধ্যে ক্রমবর্ধমান মোহভঙ্গের অনুভূতিকে তুলে ধরে, যা তাদের জাতীয় সীমানার বাইরে বিকল্পগুলি বিবেচনা করতে উৎসাহিত করছে। দেশত্যাগের এই আকাঙ্ক্ষার কারণগুলি জটিল এবং বহুমাত্রিক, যার মধ্যে অর্থনৈতিক উদ্বেগ, সামাজিক সমস্যা এবং প্রজনন অধিকারের উদ্বেগ অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে, যা বিশ্বব্যাপী নারীদেরকে বিশেষভাবে প্রভাবিত করে।
বিদেশে সুযোগ সন্ধানকারী নারীর সংখ্যা বৃদ্ধি এমন একটি বৃহত্তর প্রবণতাকে প্রতিফলিত করে, যেখানে ব্যক্তিরা তাদের মূল্যবোধের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ এবং বৃহত্তর ব্যক্তিগত ও পেশাদার পরিপূর্ণতা প্রদান করে এমন পরিবেশ খুঁজছেন। এই দেশত্যাগ আমেরিকান সমাজের ভবিষ্যৎ এবং নারীদের অন্যত্র বিকল্প খুঁজতে পরিচালিত করার উদ্বেগগুলি মোকাবিলার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কেও প্রশ্ন তোলে। এই প্রবণতার দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব এখনও দেখার বিষয়, তবে এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নারীরা বর্তমানে যে চ্যালেঞ্জগুলির মুখোমুখি হচ্ছেন, তা বোঝা এবং মোকাবিলার গুরুত্বের ওপর জোর দেয়।
Discussion
Join the conversation
Be the first to comment