২০২৫ সালে বেশ কয়েকটি দক্ষিণ আমেরিকান দেশে রক্ষণশীল ও কট্টর-ডানপন্থী নেতারা ক্ষমতায় এসেছেন, যা ক্রমবর্ধমান অপরাধের হার এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে জটিল সম্পর্কের কারণে নাগরিকদের উদ্বেগের দ্বারা চালিত একটি গুরুত্বপূর্ণ আদর্শিক পরিবর্তন চিহ্নিত করে। ট্রাম্প প্রশাসন এই অঞ্চলে তার সামরিক উপস্থিতি এবং রাজনৈতিক প্রভাব বাড়ানোর সাথে সাথে রাজনৈতিক পরিবর্তনগুলো ঘটেছে।
ক্রিসমাসের আগে দেওয়া বক্তব্যে সেক্রেটারি অফ স্টেট মার্কো রুবিও যুক্তরাষ্ট্রের বর্ধিত কার্যকলাপের পক্ষে বলেন, "এখানে লক্ষ্য হল নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতা আনা।" ডান-ঘেঁষা সরকারগুলোর দিকে এই পরিবর্তন কঠোর আইন প্রয়োগ এবং আরও শক্তিশালী নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য নাগরিকদের ক্রমবর্ধমান চাহিদাকে প্রতিফলিত করে।
পুরো দক্ষিণ আমেরিকাতে অপরাধের হার বৃদ্ধি সাম্প্রতিক নির্বাচনগুলোতে একটি কেন্দ্রীয় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। যে প্রার্থীরা অপরাধমূলক কার্যকলাপ দমনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছেন, তারা ভোটারদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সমর্থন পেয়েছেন। এই প্রবণতাটি জনতুষ্টিবাদী এবং জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের প্রতি ক্রমবর্ধমান সমর্থনের একটি বৃহত্তর বৈশ্বিক ধারাকেও প্রতিফলিত করে।
এই অঞ্চলে ট্রাম্প প্রশাসনের নীতি রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে আরও জটিল করেছে। বর্ধিত সামরিক সহায়তা এবং কূটনৈতিক চাপ মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সাথে মিলিত হয়েছে, কিছু নেতা সমর্থনকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং অন্যরা সার্বভৌমত্ব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
এই ডানদিকে মোড় নেওয়ার দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব এখনও দেখার বিষয়, তবে বিশ্লেষকরা মনে করেন যে এটি আঞ্চলিক বাণিজ্য চুক্তি, বৈদেশিক নীতি এবং দেশীয় সামাজিক কর্মসূচিতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনতে পারে। নতুন সরকারগুলো কঠোর অভিবাসন নীতি বাস্তবায়ন এবং জাতীয় নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।
Discussion
Join the conversation
Be the first to comment