এইচএস২ এর ২০২৯-২০৩৩ সালের মধ্যে বার্মিংহাম এবং লন্ডনের মধ্যে ট্রেন পরিষেবা চালু করার উচ্চাকাঙ্ক্ষী লক্ষ্য এখন অপূরণীয়, সংস্থাটি নিশ্চিত করেছে। এই স্বীকারোক্তিটি এইচএস২-এর সিইও মার্ক ওয়াইল্ডের পূর্বের স্বীকারোক্তিগুলির ধারাবাহিকতায় এসেছে যেখানে তিনি উল্লেখ করেছিলেন যে নির্মাণ সংক্রান্ত জটিলতার কারণে প্রকল্পের একটি "রিসেট" করা দরকার, যার মধ্যে এর ব্যয় এবং সময়সূচীর পুঙ্খানুপুঙ্খ পর্যালোচনা অন্তর্ভুক্ত।
প্রাথমিক সময়সীমা অনুযায়ী ২০২৯ থেকে ২০৩৩ সালের মধ্যে পর্যায়ক্রমে পরিষেবা শুরু করার কথা ছিল। তবে, এইচএস২ লিমিটেড তখন থেকে নতুন করে ব্যয় এবং সময়সূচী নির্ধারণের জন্য কাজ করছে, যা সম্ভাব্য অতিরিক্ত খরচ এবং বিলম্বের ইঙ্গিত দেয়। যদিও সর্বশেষ আপডেটে নির্দিষ্ট সংখ্যা প্রকাশ করা হয়নি, তবে একটি অপূরণীয় সময়সীমার স্বীকৃতি প্রকল্পের আর্থিক দৃষ্টিভঙ্গির একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনকে নির্দেশ করে।
এই বিলম্বের কারণে বাজারে একটি বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। পরিকল্পিত রুটের আশেপাশের ব্যবসাগুলি, বর্ধিত সংযোগ এবং অর্থনৈতিক কার্যকলাপের প্রত্যাশায়, তাদের বিনিয়োগ কৌশলগুলি পুনর্বিবেচনা করতে হতে পারে। নির্মাণ শিল্প, যা ইতিমধ্যেই উপকরণের মূল্যবৃদ্ধি এবং শ্রমিক সংকট নিয়ে সমস্যায় জর্জরিত, তারা আরও অনিশ্চয়তার সম্মুখীন হবে। সরকারের অবকাঠামো ব্যয় পরিকল্পনাও প্রভাবিত হবে, সম্ভবত এইচএস২-এর ঘাটতি পূরণের জন্য সম্পদের পুনর্ব allocation প্রয়োজন হতে পারে।
এইচএস২, লন্ডন, মিডল্যান্ডস এবং উত্তর ইংল্যান্ডকে সংযুক্ত করার জন্য ডিজাইন করা একটি উচ্চ-গতির রেলপথ প্রকল্প, শুরু থেকেই এটি নিয়ে বিতর্ক চলছে। সমর্থকরা যুক্তি দেখান যে এটি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়াতে, সংযোগ উন্নত করতে এবং বিদ্যমান রেল অবকাঠামোর উপর চাপ কমাতে সাহায্য করবে। তবে সমালোচকরা এর ক্রমবর্ধমান ব্যয়, পরিবেশগত প্রভাব এবং নির্মাণের কারণে সৃষ্ট ব্যাঘাত নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
ভবিষ্যতে, এইচএস২ লিমিটেড কর্তৃক চূড়ান্ত করা সংশোধিত ব্যয় এবং সময়সূচী অনুমানের দিকে নজর থাকবে। এই সংখ্যাগুলি প্রকল্পের ভবিষ্যৎ কার্যকারিতা এবং সরকারের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় সহায়তার পরিমাণ নির্ধারণের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে। এই বিলম্ব আঞ্চলিক উন্নয়নের উপর দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব এবং যুক্তরাজ্যের সামগ্রিক পরিবহন অবকাঠামো কৌশল সম্পর্কেও প্রশ্ন তোলে।
Discussion
Join the conversation
Be the first to comment