মধ্যপ্রাচ্য এক দশকের বেশি সময় ধরে চলা বিধ্বংসী সংঘাতের পর এক গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে এসে দাঁড়িয়েছে। ২০২৫ সালের ২৮শে ডিসেম্বরের হিসাবে, চলমান সহিংসতা নিয়ে এই অঞ্চলের মানুষের মধ্যে ব্যাপক ক্লান্তি দেখা দিয়েছে। নিউ ইয়র্ক টাইমস জানাচ্ছে যে, অন্তহীন সহিংসতার চক্রের বিরুদ্ধে একটি ক্রমবর্ধমান মনোভাব তৈরি হয়েছে।
সিরিয়ার ১৩ বছরের গৃহযুদ্ধে পাঁচ লক্ষেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। দুই বছরের গাজা যুদ্ধে ৭০,০০০ ফিলিস্তিনি এবং প্রায় ২,০০০ ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন। এই সংঘাতগুলো পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
সিরিয়ার বুসরার একটি হাসপাতালের কর্মী হাসান স্মাদি একটি সাধারণ অনুভূতি প্রকাশ করেছেন: "একটি সমাধান খোঁজা ছাড়া অন্য কোনো উপায় নেই।" এটি প্রতিশোধের বিকল্প হিসেবে যুদ্ধ-ক্লান্ত জনগণের আকাঙ্ক্ষাকে প্রতিফলিত করে।
রাজনৈতিক, ধর্মীয় এবং আঞ্চলিক বিরোধের কারণে মধ্যপ্রাচ্য কয়েক দশক ধরে সংঘাতে জর্জরিত। শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা প্রায়ই থমকে গেছে।
অবিলম্বে ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে শান্তির জন্য এই নতুন আকাঙ্ক্ষা গভীরভাবে প্রোথিত বিভেদগুলোকে অতিক্রম করতে পারবে কিনা তার ওপর। আগামী মাসগুলো এই অঞ্চলের পথ নির্ধারণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে।
Discussion
Join the conversation
Be the first to comment