আলোচনায় সম্ভবত শান্তি পরিকল্পনার সুনির্দিষ্ট নীতিগত বিষয়গুলো, যেমন প্রস্তাবিত সীমান্ত সমন্বয়, জেরুজালেমের মর্যাদা এবং বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠীর পুনর্বাসন ইত্যাদি স্থান পাবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হোয়াইট হাউসের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইসরায়েলের নিরাপত্তার প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করার পাশাপাশি ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের একটি স্থায়ী সমাধানের দিকে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপের জন্য চাপ দেবেন।
নেতানিয়াহুর দপ্তর থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে কৌশলগত জোটকে সুসংহত করার ক্ষেত্রে এই বৈঠকের গুরুত্বের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে প্রধানমন্ত্রী ইরানের আঞ্চলিক প্রভাব এবং এর পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে উদ্বেগ নিরসনের পরিকল্পনা করছেন।
এই বৈঠকটি এমন এক পটভূমিতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে যখন ইসরায়েলি বাহিনী এবং পশ্চিম তীর ও গাজার ফিলিস্তিনি দলগুলোর মধ্যে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ চলছে। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা গাজার মানবিক পরিস্থিতি এবং সাম্প্রতিক সংঘাতের পর পুনর্গঠন প্রচেষ্টার ধীর গতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
ট্রাম্প প্রশাসন কর্তৃক ২০২০ সালে প্রাথমিকভাবে উন্মোচিত শান্তি পরিকল্পনাটি ফিলিস্তিনি নেতাদের কাছ থেকে সমালোচিত হয়েছে, যারা এটিকে ইসরায়েলের প্রতি পক্ষপাতদুষ্ট বলে মনে করেন। তারা ধারাবাহিকভাবে ১৯৬৭ সালের আগের সীমানা অনুযায়ী পূর্ব জেরুজালেমকে ভবিষ্যতের ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের রাজধানী করে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের আহ্বান জানিয়ে আসছেন। আসন্ন বৈঠকটি উভয় নেতার জন্য সম্ভাব্যভাবে এই উদ্বেগের কিছু সমাধানের এবং নতুন করে আলোচনার পথ অনুসন্ধানের সুযোগ করে দেয়।
বৈঠকের সুনির্দিষ্ট আলোচ্যসূচি এবং প্রত্যাশিত ফলাফল সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য আগামী কয়েক দিনের মধ্যে প্রকাশ করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বৈঠকের সিদ্ধান্তগুলো সম্ভবত ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সম্পর্ক এবং মধ্যপ্রাচ্যের বৃহত্তর ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে প্রভাবিত করবে।
Discussion
Join the conversation
Be the first to comment