সাতজন প্রার্থী রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ব্যালটে অংশ নিয়েছেন, যার মধ্যে রয়েছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অ্যানিসেট জর্জেস ডোলোগুলে এবং হেনরি-মারি ডোন্ড্রা। ডোলোগুলে এবং ডোন্ড্রা উভয়কেই প্রথমে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে বাধা দেওয়া হয়েছিল, তবে পরে সাংবিধানিক আদালত তাদের ছাড়পত্র দেয়। ডোলোগুলে ২০১৫ এবং ২০২০ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছিলেন, যেখানে ডোন্ড্রা কিছু সময়ের জন্য টুয়াডেরার অধীনে কাজ করেছেন।
দেশের চলমান সংঘাতের ফলে জনগণের মধ্যে যে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে, বিরোধী দলগুলো তার সুযোগ নিতে চাইছে। ক্রমাগত অস্থিরতার কারণে অনেক নাগরিককে প্রতিদিন নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকে চলমান নিরাপত্তা উদ্বেগ এবং অর্থনৈতিক কষ্টের মধ্যে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ২০১৬ সালে প্রথমবারের মতো নির্বাচিত টুয়াডেরা ওয়াগনার গ্রুপ থেকে আসা রাশিয়ান নিরাপত্তা ঠিকাদারদের উপর তার সরকারের নির্ভরতার জন্য সমালোচিত হয়েছেন। এই অংশীদারিত্ব আন্তর্জাতিক scrutiny আকর্ষণ করেছে এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
রাষ্ট্রপতির সমর্থকরা বলছেন যে তিনি দেশে কিছুটা স্থিতিশীলতা এনেছেন এবং অবকাঠামো ও জনসেবার উন্নতির জন্য কাজ করেছেন। তবে তার বিরোধীরা বলছেন যে তিনি সংঘাতের মূল কারণগুলি মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়েছেন এবং ক্রমশ স্বৈরাচারী হয়ে উঠেছেন।
আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা নির্বাচনী প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করছেন, যাদের একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ফলাফল ঘোষণা করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। নির্বাচনের ফলাফল সম্ভবত সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকের ভবিষ্যতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে, বিশেষ করে এর নিরাপত্তা পরিস্থিতি এবং আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সাথে এর সম্পর্কের ক্ষেত্রে।
Discussion
Join the conversation
Be the first to comment