ইরাকের নতুন সংসদ সোমবার তার প্রথম অধিবেশন করার কথা রয়েছে, যা একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত কারণ দেশটি তার সাম্প্রতিক নির্বাচন এবং একটি নতুন সরকার গঠনের জটিলতাগুলোর মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী কে হবেন সেই প্রশ্নটি এখনও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে, বিশেষ করে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানির জন্য, যাঁর ক্ষমতা ফেডারেল সুপ্রিম কোর্ট (এফএসসি) নভেম্বরে সীমিত করে দিয়েছিল, কার্যত তাঁর প্রশাসনকে একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারে রূপান্তরিত করে।
আল-সুদানি বর্তমানে তাঁর নির্বাচনী জোট, রিকনস্ট্রাকশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট কোয়ালিশন (আরডিসি)-এর মধ্যে বিভেদ দূর করতে নতুন জোট গঠনের জন্য কাজ করছেন। আরডিসি-র একটি সূত্র অনুসারে, আল-সুদানি একটি কঠিন অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে ইরাককে নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা প্রদর্শনের লক্ষ্য রেখেছেন।
নির্বাচনের পর থেকে রাজনৈতিক পরিস্থিতি পরিবর্তিত হয়েছে। ফেডারেল সুপ্রিম কোর্টের আল-সুদানির ক্ষমতা সীমিত করার সিদ্ধান্তে একটি নতুন সরকার গঠনের প্রক্রিয়া জটিল হয়ে পড়েছে। এফএসসি-র রায় স্থিতিশীলতা এবং বৈধতা নিশ্চিত করার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে একটি বৃহত্তর ঐকমত্যের প্রয়োজনীয়তা তৈরি করেছে।
আসন্ন সংসদীয় অধিবেশন পরবর্তী সরকারের গঠন এবং প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। নতুন প্রশাসনে নিজেদের প্রভাব সর্বাধিক করার জন্য বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আলোচনা চলছে। ইরাকে একটি জোট সরকার গঠনের প্রক্রিয়ায় প্রায়শই বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে জটিল আলোচনা এবং আপস অন্তর্ভুক্ত থাকে।
প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন সম্ভবত একজন প্রার্থীর সংসদ সদস্যদের সংখ্যাগরিষ্ঠের সমর্থন আদায়ের ক্ষমতার উপর নির্ভর করবে। সরকারের নীতি নির্ধারণ এবং অর্থনৈতিক সংস্কার, নিরাপত্তা উদ্বেগ এবং সামাজিক সমস্যা সহ দেশের অসংখ্য চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
নতুন সরকারকে দুর্নীতি মোকাবেলা, জনসেবার উন্নতি এবং চলমান আঞ্চলিক অস্থিরতার মুখে নিরাপত্তা বজায় রাখাসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে। নতুন সরকারের এই সমস্যাগুলো মোকাবেলার ক্ষমতা ইরাকের দীর্ঘমেয়াদী স্থিতিশীলতা এবং সমৃদ্ধি নিশ্চিত করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে।
Discussion
Join the conversation
Be the first to comment