সোমবার তাইওয়ানের চারপাশে সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। পিপলস লিবারেশন আর্মি (PLA) নৌ, বিমান, স্থল এবং ক্ষেপণাস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করেছে। এই পদক্ষেপটি চীনের দ্বীপটির দাবির বিরোধিতাকারীদের জন্য একটি কঠোর সতর্কবার্তা।
তাইওয়ানের চারপাশে সমুদ্র এবং আকাশসীমার সাতটি অঞ্চল বন্ধ করে দেওয়া হবে। মঙ্গলবার লাইভ-ফায়ার মহড়া অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। পিএলএ-এর ইস্টার্ন থিয়েটার কমান্ড এই মহড়া পরিচালনা করছে। মুখপাত্র সিনিয়র কর্নেল শি ই বলেছেন, মহড়াগুলোতে বন্দর অবরোধের অনুকরণ করা হবে। এছাড়াও, এর লক্ষ্য তাইওয়ানের পূর্বে চীনের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করা। এপ্রিল মাসের পর তাইওয়ানের চারপাশে এটিই প্রথম বড় সামরিক মহড়া।
"জাস্টিস মিশন ২০২৫" নামের এই অভিযানটি তাইওয়ানকে ঘিরে ফেলার ক্ষেত্রে চীনের ক্রমবর্ধমান ক্ষমতা প্রদর্শন করে। ট্রাম্প প্রশাসন তাইওয়ানের কাছে ১১ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির প্রস্তাব দেওয়ার পরে এই মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই প্যাকেজে HIMARS আর্টিলারি সিস্টেম অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
এই মহড়াগুলো চীন ও তাইওয়ানের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার ফলস্বরূপ। চীন তাইওয়ানকে একটি বিচ্ছিন্ন প্রদেশ হিসেবে দেখে। তাইওয়ান তার স্বাধীনতা বজায় রেখেছে।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। আরও সামরিক পদক্ষেপ বা কূটনৈতিক প্রতিক্রিয়া প্রত্যাশিত।
Discussion
Join the conversation
Be the first to comment