ইরানের জাতীয় মুদ্রা মার্কিন ডলারের বিপরীতে গত সপ্তাহান্তে রেকর্ড পরিমাণ কমে যাওয়ায় সোমবার তেহরান এবং অন্যান্য শহরগুলোতে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে যাওয়ায় এই বিক্ষোভ আরও তীব্র হয়েছে। ডিসেম্বরে বার্ষিক মুদ্রাস্ফীতির হার ৪২.২ শতাংশে পৌঁছেছে, যা পরিবারের বাজেটকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করেছে এবং বাজারকে অস্থিতিশীল করে তুলেছে।
মুদ্রার পতন এবং ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি ইরানের আর্থিক নেতৃত্বে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এনেছে। মোহাম্মদ রেজা ফারজিন সোমবার ইরানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধানের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন, যা রাষ্ট্রপতি কর্তৃক অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। সাবেক অর্থনীতি মন্ত্রী আবদোলনাসের হেমмати তার উত্তরসূরি হতে চলেছেন, যা অর্থনৈতিক নীতিতে সম্ভাব্য পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
প্রেসিডেন্ট মাসউদ পেজেশকিয়ান প্রস্তাবিত ২০২৬ সালের বাজেট নিয়ে আলোচনার সময় রবিবার সংসদে অর্থনৈতিক সংকটের তীব্রতা স্বীকার করেছেন। তিনি বর্তমান আর্থিক অস্থিতিশীলতার জন্য পূর্ববর্তী প্রশাসন, সংসদ এবং কর্মকর্তাদের নেওয়া সিদ্ধান্তকে দায়ী করেছেন এবং বর্তমান পরিস্থিতিতে অবদান রাখা জটিল ঐতিহাসিক কারণগুলোর ওপর আলোকপাত করেছেন।
অর্থনৈতিক সংকট ইরানের নেতৃত্বের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে কারণ তারা অভ্যন্তরীণ চাপ এবং বাহ্যিক হুমকি মোকাবিলা করছে। দেশটি এখনও জুনে তার পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে কথিত হামলার ধাক্কা সামলাচ্ছে এবং চলমান আন্তর্জাতিক চাপের সঙ্গে লড়াই করছে। বর্তমান অর্থনৈতিক অস্থিরতা বিদ্যমান ভূ-রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জগুলোতে আরও একটি জটিলতা যুক্ত করেছে।
সামনের দিকে তাকিয়ে, সরকারের মুদ্রা স্থিতিশীল করার, মুদ্রাস্ফীতি কমানোর এবং অন্তর্নিহিত অর্থনৈতিক সমস্যাগুলো সমাধানের ক্ষমতা সামাজিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে এবং জটিল ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে। নতুন কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রধানের নিয়োগ এবং অর্থনৈতিক নীতিতে সম্ভাব্য পরিবর্তনগুলো এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলার জন্য একটি নতুন প্রচেষ্টার ইঙ্গিত দিতে পারে, তবে এর দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব এখনও দেখার বিষয়।
Discussion
Join the conversation
Be the first to comment