সোমবার টেলিগ্রামে লাভরভ জানান যে রাশিয়ার আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ৯১টি ড্রোনকেই আটকে দিয়েছে এবং ধ্বংস করেছে। তিনি আরও জানান, হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির কোনও খবর পাওয়া যায়নি। রাশিয়া ইঙ্গিত দিয়েছে যে এই কথিত হামলার পর তারা শান্তি আলোচনার ক্ষেত্রে তাদের অবস্থান পুনর্বিবেচনা করবে। এই ঘটনার সময় পুতিনের অবস্থান কোথায় ছিল, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

জেলেনস্কি এই দাবিকে "সাধারণ রুশ মিথ্যা" বলে উড়িয়ে দিয়েছেন এবং বলেছেন যে ক্রেমলিন এটিকে ইউক্রেনের উপর আক্রমণ চালিয়ে যাওয়ার অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছে। তিনি উল্লেখ করেন যে রাশিয়া এর আগেও কিয়েভে সরকারি ভবনগুলিতে হামলা চালিয়েছিল। জেলেনস্কি X-এ আরও বলেন, "এটা জরুরি যে বিশ্ব এখন নীরব না থাকে। রাশিয়াকে যেন স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার কাজকে দুর্বল করতে দেওয়া না হয়।"

এই ধরনের দাবি এবং পাল্টা দাবির বিশ্লেষণে এআই-এর ব্যবহার ক্রমশ বাড়ছে। স্যাটেলাইট থেকে পাওয়া ছবি, সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্ট এবং সরকারি বিবৃতি বিশ্লেষণ করে অসঙ্গতি এবং সম্ভাব্য ভুল তথ্য খুঁজে বের করতে এআই অ্যালগরিদম ব্যবহার করা যেতে পারে। এই অ্যালগরিদমগুলি প্রায়শই ন্যাচারাল ল্যাঙ্গুয়েজ প্রসেসিং (NLP) ব্যবহার করে উৎসগুলির অনুভূতি এবং বিশ্বাসযোগ্যতা মূল্যায়ন করতে এবং কম্পিউটার ভিশন ব্যবহার করে ভিজ্যুয়াল ডেটার মধ্যে অস্বাভাবিকতা সনাক্ত করতে পারে। তবে, এআই-উত্পাদিত তথ্যের ব্যাখ্যা করার সময় সতর্কতার সাথে বিবেচনা করা উচিত, কারণ অ্যালগরিদমগুলি তাদের প্রশিক্ষণের ডেটাতে থাকা পক্ষপাতদুষ্টতার শিকার হতে পারে।

এই ঘটনা আধুনিক সংঘাতগুলোতে তথ্য যাচাই করার ক্ষেত্রে চলমান চ্যালেঞ্জগুলোকে তুলে ধরে, যেখানে উভয় পক্ষই অত্যাধুনিক তথ্যযুদ্ধের কৌশল ব্যবহার করতে পারে। মনুষ্যবিহীন আকাশযান (UAV), যা সাধারণত ড্রোন নামে পরিচিত, তার উপর নির্ভরতা যুদ্ধের বিবর্তনকেও তুলে ধরে। এআই-চালিত ড্রোনের ব্যবহার স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র ব্যবস্থা এবং অনিচ্ছাকৃতভাবে পরিস্থিতি বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা সম্পর্কে নৈতিক ও কৌশলগত প্রশ্ন তোলে। ড্রোন ঝাঁককে আটকাতে সক্ষম অত্যাধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মতো প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থার বিকাশও দ্রুত বাড়ছে, যা এআই-চালিত হুমকি সনাক্তকরণ এবং প্রতিক্রিয়া অ্যালগরিদম দ্বারা চালিত।

পরিস্থিতি এখনও পরিবর্তনশীল, এবং আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা উভয় পক্ষের করা দাবির স্বাধীন যাচাইকরণের আহ্বান জানাচ্ছেন। শান্তি আলোচনার উপর এই ঘটনার সম্ভাব্য প্রভাব এখনও দেখার বিষয়, তবে জেলেনস্কির বক্তব্যে ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে ইউক্রেন এই কথিত হামলাকে সংঘাতের একটি স্থায়ী সমাধান অর্জনের প্রচেষ্টাকে দুর্বল করতে দিতে নারাজ।