রবিবার সিরিয়ার উপকূলীয় অঞ্চলজুড়ে বিক্ষোভ ও সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে, যা বাশার আল-আসাদের শাসনের পতনের এক বছর পর সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা পুনরায় বৃদ্ধির ইঙ্গিত দেয়। প্রতিবেদন অনুযায়ী, লাতাকিয়ার আল-আজহারী গোল চত্বরে সিরীয় নিরাপত্তা বাহিনীর দিকে গুলি চালানো হয় এবং তারতুস গভর্নরেটের বানিয়াস জেলার আল-আনাজা পুলিশ স্টেশনে একটি হাত গ্রেনেড হামলা হয়।
আল-আসাদ যে আলাউয়াইট সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন, মূলত সেই সম্প্রদায়ের লোকেরাই এই বিক্ষোভের আয়োজন করে। রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, লাতাকিয়ায় বিক্ষোভকারীরা ফেডারেলিজম এবং আলাউয়েটদের বিরুদ্ধে তথাকথিত হত্যাকাণ্ড ও লঙ্ঘনের অবসান দাবি করে। অন্তত আটজনের মৃত্যুর পর এই বিক্ষোভ শুরু হয়, যাদের মৃত্যুর পরিস্থিতি এখনও বিতর্কিত।
এই অস্থিরতা সিরিয়ার ভঙ্গুর নিরাপত্তা পরিস্থিতি এবং গভীর-বদ্ধ সাম্প্রদায়িক বিভাজনকে তুলে ধরে, যা এখনও দেশটিকে জর্জরিত করে রেখেছে। আসাদের অধীনে যে আলাউয়াইট সম্প্রদায় উল্লেখযোগ্য ক্ষমতা ধরে রেখেছিল, তারা এখন পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নিজেদেরকে একটি অনিশ্চিত অবস্থানে খুঁজে পেয়েছে। ফেডারেলিজমের জন্য তাদের দাবি একটি পুনর্গঠিত সিরীয় রাষ্ট্রের মধ্যে বৃহত্তর স্বায়ত্তশাসন এবং সুরক্ষার আকাঙ্ক্ষাকে ইঙ্গিত করে।
লাতাকিয়া ও বানিয়াসের ঘটনা সম্পর্কে নিরাপত্তা বাহিনী এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি। তবে, সিরীয় সরকারের ভেতরের সূত্র, পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছে যে, হামলার অপরাধীদের শনাক্ত করতে এবং অস্থিরতার মাত্রা মূল্যায়ন করতে তদন্ত চলছে।
সিরিয়ার উপকূলীয় অঞ্চলের ঘটনাগুলো আরও উত্তেজনা ও অস্থিতিশীলতার সম্ভাবনা নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই বিক্ষোভ অন্যান্য সংখ্যালঘু গোষ্ঠীগুলোকে তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করতে এবং বৃহত্তর অধিকার দাবি করতে উৎসাহিত করতে পারে। সংঘাতের উত্তরাধিকার এবং একটি নতুন রাজনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে তোলার চ্যালেঞ্জের সাথে লড়াই করার কারণে সিরিয়ার ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত। আলাউয়াইট সম্প্রদায়ের উদ্বেগকে সরকার মোকাবিলা করতে পারবে কিনা এবং আরও সহিংসতা প্রতিরোধ করতে পারবে কিনা, তা নির্ধারণের জন্য আগামী সপ্তাহগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
Discussion
Join the conversation
Be the first to comment