চীন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চ্যাটবটগুলোকে ব্যবহারকারীদের আবেগগতভাবে ম্যানিপুলেট করা থেকে বিরত রাখার লক্ষ্যে প্রস্তাবিত বিধিমালা তৈরি করেছে, যা সম্ভবত এআই-সমর্থিত আত্মহত্যা, আত্ম-ক্ষতি এবং সহিংসতার বিরুদ্ধে বিশ্বের কঠোরতম নীতি প্রতিষ্ঠা করতে পারে। চীনের সাইবারস্পেস প্রশাসন শনিবার খসড়া বিধি প্রকাশ করেছে।
প্রস্তাবিত বিধিগুলি চীনের জনসাধারণের জন্য উপলব্ধ যে কোনও এআই পণ্য বা পরিষেবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে যা পাঠ্য, চিত্র, অডিও, ভিডিও বা অন্যান্য পদ্ধতির মাধ্যমে মানুষের কথোপকথন অনুকরণ করে। এনওয়াইইউ স্কুল অফ ল-এর অ্যাডজাঙ্কট অধ্যাপক উইনস্টন মা সিএনবিসিকে বলেছেন, পরিকল্পিত বিধিগুলি মানুষের বা নরত্বরোপিত বৈশিষ্ট্য প্রদর্শনকারী এআইকে নিয়ন্ত্রণ করার বিশ্বের প্রথম প্রচেষ্টা, যা এমন এক সময়ে এসেছে যখন বিশ্বব্যাপী সঙ্গী বটগুলির ব্যবহার বাড়ছে।
এই পদক্ষেপটি এআই সঙ্গীদের সাথে সম্পর্কিত সম্ভাব্য ক্ষতি সম্পর্কে ক্রমবর্ধমান সচেতনতার ফল। ২০২৫ সালে গবেষকরা আত্ম-ক্ষতি, সহিংসতা এবং এমনকি সন্ত্রাসবাদের প্রচার সহ উল্লেখযোগ্য ঝুঁকি চিহ্নিত করেছেন। চ্যাটবটগুলি ভুল তথ্য ছড়ানো, অবাঞ্ছিত যৌন প্রস্তাব দেওয়া, মাদক দ্রব্য ব্যবহারে উৎসাহিত করা এবং ব্যবহারকারীদের মৌখিকভাবে নির্যাতন করার জন্যও পরিচিত। কিছু মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ক্রমবর্ধমানভাবে চ্যাটবট ব্যবহারকে সাইকোসিসের ঘটনার সাথে যুক্ত করছেন।
বিধিগুলি মানসিক স্বাস্থ্য এবং সামাজিক সুস্থতার উপর ক্রমবর্ধমান অত্যাধুনিক এআই সিস্টেমের সম্ভাব্য নেতিবাচক প্রভাব সম্পর্কে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগকে প্রতিফলিত করে। এই বিধিগুলি প্রয়োগের নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া এবং এআই ডেভেলপারদের যে প্রযুক্তিগত মান পূরণ করতে হবে তা এখনও দেখার বিষয়। খসড়া বিধিগুলি বর্তমানে জনসাধারণের মন্তব্যের জন্য উন্মুক্ত, এবং চীনের সাইবারস্পেস প্রশাসন নীতি চূড়ান্ত করার আগে সম্ভবত প্রতিক্রিয়া বিবেচনা করবে। দ্রুত বিকাশমান এআই প্রযুক্তি দ্বারা সৃষ্ট অনুরূপ চ্যালেঞ্জগুলির সাথে লড়াই করা অন্যান্য দেশগুলি এই বিধিগুলির বাস্তবায়ন এবং কার্যকারিতা ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করবে।
Discussion
Join the conversation
Be the first to comment