ইরানের অর্থনৈতিক সংকট এই সপ্তাহে আরও গভীর হয়েছে কারণ দেশটির জাতীয় মুদ্রা মার্কিন ডলারের বিপরীতে রেকর্ড পরিমাণে কমে গেছে, যার ফলে তেহরান এবং অন্যান্য শহরগুলোতে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। মুদ্রার পতন, সেইসাথে ডিসেম্বরে ৪২.২ শতাংশের আকাশচুম্বী বার্ষিক মুদ্রাস্ফীতি, বাজারকে অস্থিতিশীল করে তুলেছে এবং পরিবারের অর্থনীতিকে চাপের মধ্যে ফেলেছে।
ইরানি রিয়ালের দরপতন সপ্তাহান্তে আরও বেড়ে যায়, যা তাৎক্ষণিক উদ্বেগ এবং জনগণের প্রতিবাদের জন্ম দেয়। ক্রমবর্ধমান সংকটের প্রতিক্রিয়ায়, মোহাম্মদ রেজা ফারজিন সোমবার ইরানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধানের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন, যা রাষ্ট্রপতি কর্তৃক অনুমোদিত হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। সাবেক অর্থনীতি মন্ত্রী আবদোলনাসের হেমмати তার স্থলাভিষিক্ত হওয়ার কথা রয়েছে, যা অর্থনৈতিক নীতিতে সম্ভাব্য পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়।
অর্থনৈতিক এই সংকট ইরানের নেতৃত্বের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে, যারা ইতিমধ্যেই জটিল ভূ-রাজনৈতিক চাপ মোকাবেলা করছে। দেশটি এখনও জুনে তাদের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে ইসরায়েল এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক কথিত হামলার ধাক্কা সামলে উঠতে পারেনি, সেই সাথে ট্রাম্প প্রশাসনের "সর্বোচ্চ চাপ" প্রচারণার প্রভাবও রয়ে গেছে। এই কারণগুলো একটি অস্থির অর্থনৈতিক পরিবেশে অবদান রেখেছে, যা অভ্যন্তরীণ আর্থিক অব্যবস্থাপনার প্রভাবকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান একটি সামাজিক মাধ্যম পোস্টে জনগণের উদ্বেগের কথা স্বীকার করে বলেছেন যে জনগণের জীবিকা তার "দৈনিক উদ্বেগের বিষয়" এবং সরকার কিছু পদক্ষেপের পরিকল্পনা করেছে। তবে, মুদ্রা এবং মুদ্রাস্ফীতির উপর এই পরিকল্পনাগুলোর তাৎক্ষণিক প্রভাব এখনও দেখার বিষয়। এই পরিস্থিতি অভ্যন্তরীণ এবং বাহ্যিক উভয় চাপের মুখে ইরানের অর্থনীতির দুর্বলতাকে তুলে ধরে, যা দেশটির আর্থিক ব্যবস্থার দীর্ঘমেয়াদী স্থিতিশীলতা এবং ৯ কোটি ২০ লক্ষ নাগরিকের চাহিদা মেটাতে এর সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
Discussion
Join the conversation
Be the first to comment