ফ্লোরিডায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সোমবার গাজা পরিস্থিতি, সিরিয়ার সাথে সম্পর্ক, ইরানের পুনরায় অস্ত্রসজ্জিতকরণ এবং লেবাননে হিজবুল্লাহর ভূমিকা সহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন। ট্রাম্পের মার-এ-লাগো রিসোর্টে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকটি ১১ মাস আগে ট্রাম্পের ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তনের পর থেকে দুই নেতার মধ্যে ষষ্ঠ সাক্ষাৎ।
আলোচনায় গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তির অগ্রগতি বিশেষভাবে গুরুত্ব পাবে বলে আশা করা হচ্ছে, যে বিষয়ে ইসরায়েলি সরকার সম্প্রতি এমন অবস্থান নিয়েছে যা মার্কিন সরকারের অবস্থানের থেকে ভিন্ন। এই আলোচনার ফলাফল অঞ্চলের ভবিষ্যতে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে, বিশেষ করে গাজায় চলমান সংঘাত এবং মানবিক সংকট সম্পর্কিত বিষয়ে।
ঐতিহাসিকভাবে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের সবচেয়ে শক্তিশালী সামরিক ও রাজনৈতিক মিত্র। এই বৈঠকটি সমালোচনামূলক আঞ্চলিক সমস্যাগুলির উপর দুই নেতার মধ্যে বর্তমান বোঝাপড়ার একটি পরিমাপক হিসাবে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। পর্যবেক্ষকরা ট্রাম্প এবং নেতানিয়াহুর মধ্যে ব্যক্তিগত সম্পর্ক কীভাবে নীতি সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করবে তা বুঝতে আগ্রহী।
ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি এবং আঞ্চলিক প্রক্সিগুলোর প্রতি তার সমর্থন, সেইসাথে সিরিয়ার চলমান অস্থিরতা সহ মধ্যপ্রাচ্যে চলমান উত্তেজনার মধ্যে এই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নতুন সিরীয় সরকারের অধীনে যুক্তরাষ্ট্র-সিরিয়া সম্পর্ক কেমন হবে, সেটিও আলোচনার একটি মূল বিষয় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
জাতিসংঘ-সমর্থিত বিশেষজ্ঞরা যখন গাজার মানবিক পরিস্থিতি মূল্যায়ন করছেন, যেখানে একটি ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি বর্তমানে বহাল আছে, তখন এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বৈঠকের সিদ্ধান্তগুলো গাজা পুনর্গঠন এবং এর জনগণের চাহিদা পূরণের জন্য আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টার দিকনির্দেশনাকে প্রভাবিত করতে পারে। আলোচনা শেষে উভয় নেতার কাছ থেকে আরও বিবৃতি আশা করা হচ্ছে।
Discussion
Join the conversation
Be the first to comment