সোমবার থেকে শুরু হওয়া দুই দিনের যুদ্ধ মহড়াটি তাইওয়ানের কাছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ১১ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির ঘোষণার প্রায় দুই সপ্তাহ পরে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই বিক্রয়টি পূর্বে বেইজিংকে ক্ষুব্ধ করেছিল, যারা তাইওয়ানকে একটি বিচ্ছিন্ন প্রদেশ হিসাবে দেখে। চীনা সামরিক বাহিনী অনুসারে, এই মহড়া দ্বীপের মূল অঞ্চলগুলির দখল ও অবরোধের অনুকরণ করে এবং "তাইওয়ান স্বাধীনতা separatist forces" এবং "external interference"-এর বিরুদ্ধে একটি সতর্কতা হিসাবে কাজ করে।
মঙ্গলবার চীনের সামরিক মহড়ায় পাঁচটি স্থানে সমুদ্র এবং আকাশসীমায় ১০ ঘণ্টার লাইভ-ফায়ারিং অনুশীলন অন্তর্ভুক্ত ছিল। বাণিজ্য, নিরাপত্তা এবং মানবাধিকার ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে এই মহড়া চলছে। যুক্তরাষ্ট্র সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তাইওয়ানের প্রতি তার সমর্থন বাড়িয়েছে, যা বেইজিংয়ের সঙ্গে সম্পর্ককে আরও কঠিন করে তুলেছে।
এই পরিস্থিতি তাইওয়ানের মর্যাদা সম্পর্কিত অঞ্চলের জটিল ভূ-রাজনৈতিক গতিশীলতাকে তুলে ধরে। চীন কর্তৃক আক্রমণের ঘটনা ঘটলে যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানকে রক্ষা করবে কিনা, সে বিষয়ে "strategic ambiguity" নীতি বজায় রাখে। এই নীতি চীনকে আক্রমণ করা থেকে এবং তাইওয়ানকে স্বাধীনতা ঘোষণা করা থেকে বিরত রাখার জন্য তৈরি করা হয়েছে।
চীনা সামরিক বাহিনী এখনও ভবিষ্যতের মহড়া বা পদক্ষেপ সম্পর্কে নির্দিষ্ট বিবরণ ঘোষণা করেনি। মার্কিন সরকার জানিয়েছে যে তারা পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং তাইওয়ানকে নিজেদের রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সম্পদ সরবরাহ করা অব্যাহত রাখবে।
Discussion
Join the conversation
Be the first to comment