টিকটকে প্রচারিত ৬১ সেকেন্ডের একটি ভিডিওতে মিথ্যাভাবে দেখানো হয়েছে যে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কেইর স্টারমার রাত ১১টা থেকে দেশব্যাপী কারফিউ ঘোষণা করেছেন, যেখানে বাসিন্দাদের সরকারি অনুমতি ছাড়া বাড়ি থেকে বের হওয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে মি. স্টারমারকে নিয়ে তৈরি হওয়া হাজার হাজার ভিডিওর মধ্যে এটি অন্যতম, যা ৪ লক্ষ ৩০ হাজারের বেশি ভিউ পেয়েছে এবং টিকটক কর্তৃক সরিয়ে নেওয়ার আগে X ও ফেসবুকে অনুরূপ পোস্টগুলোকে উৎসাহিত করেছে।
এই কারসাজি করা ভিডিওটি দ্রুত উন্নতি লাভ করা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি ব্যবহার করে মি. স্টারের কণ্ঠস্বর নকল করেছে, যার মধ্যে তার স্বতন্ত্র নাসিক স্বরভঙ্গিও রয়েছে, যা আসল রেকর্ডিং থেকে আলাদা করা কঠিন করে তুলেছে। নিউজগার্ড নামক অনলাইন ভুল তথ্য সন্ধানকারী একটি কোম্পানি, মে থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে পোস্ট করা মি. স্টারমারকে নিয়ে তৈরি হওয়া ৬,০৪২টি অনুরূপ ভিডিও চিহ্নিত করেছে। এই ভিডিওগুলো মূলত পরিচয় গোপন করা অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
টিকটকের কমিউনিটি নির্দেশিকাগুলোতে আনুষ্ঠানিকভাবে ভুয়া নির্ভরযোগ্য উৎস বা সংকটপূর্ণ ঘটনা এবং সেইসাথে জনFiguresদের মিথ্যা চিত্রায়নকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এই নীতিমালা সত্ত্বেও, এআই-জেনারেটেড ভুল তথ্যের বিস্তার সামাজিক মাধ্যম প্ল্যাটফর্মগুলোর জন্য একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়ে গেছে। এই ঘটনাটি ডিপফেক প্রযুক্তির ক্রমবর্ধমান পরিশীলিততা এবং দ্রুত মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর এর সম্ভাবনাকে তুলে ধরে।
এই ধরনের ভিডিও তৈরি এবং প্রচার এআই-জেনারেটেড কন্টেন্টের মাধ্যমে জনমত এবং কারসাজির সম্ভাবনা নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি করে। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন যে এই প্রযুক্তি ক্রমশ সহজলভ্য হয়ে উঠছে, যা বিদ্বেষপূর্ণ অভিনেতাদের জন্য বিশ্বাসযোগ্য ভুয়া ভিডিও এবং অডিও রেকর্ডিং তৈরি করা সহজ করে তুলছে। এই ঘটনাটি অনলাইন ভুল তথ্যের বিস্তার মোকাবেলায় বর্ধিত সতর্কতা এবং মিডিয়া শিক্ষার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেয়। বর্তমানে, মূল ভিডিও এবং এর অনুলিপিগুলো প্রধান প্ল্যাটফর্মগুলো থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে, তবে এই ঘটনাটি অনলাইন অপতথ্যের বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধের একটি অনুস্মারক হিসেবে কাজ করে।
Discussion
Join the conversation
Be the first to comment