কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় বিনিয়োগ সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দ্রুতগতিতে বেড়েছে, যা চিপ উৎপাদন, ডেটা সেন্টার নির্মাণ এবং নতুন এআই মডেলের বিকাশে ইন্ধন জুগিয়েছে। এই দ্রুত অগ্রগতি এবং ক্রমাগত ব্যয় বৃদ্ধি সত্ত্বেও, বিভিন্ন খাতে এআই-এর ব্যাপক ব্যবহার উল্লেখযোগ্য বাধার সম্মুখীন হয়েছে।
এআই সিস্টেমের প্রযুক্তিগত সক্ষমতা প্রসারিত হওয়ার সাথে সাথে সংস্থাগুলো এই প্রযুক্তিগুলোকে তাদের বিদ্যমান কর্মপ্রবাহের সাথে সংহত করতে সমস্যায় পড়েছে। প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতা থেকে চ্যালেঞ্জটি সরে গিয়ে প্রতিষ্ঠান এবং সংস্থাগুলোর এআই কার্যকরভাবে গ্রহণ করার প্রস্তুতিতে এসে দাঁড়িয়েছে। প্রতিষ্ঠান, যা নিয়ম, প্রণোদনা, মান এবং জবাবদিহিতা কাঠামো হিসাবে সংজ্ঞায়িত, নতুন প্রযুক্তিতে অনিশ্চয়তা হ্রাস এবং আস্থা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর মধ্যে পরিচালিত সংস্থাগুলোকে অবশ্যই এআই ব্যবহারের জন্য তাদের কর্মপ্রবাহকে মানিয়ে নিতে হবে।
রাসায়নিক শিল্পের ঐতিহাসিক উদাহরণটি এই বিষয়টি তুলে ধরে। জার্মানি এই শিল্পের পথিকৃৎ হলেও, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র রসায়নবিদ্যাকে উৎপাদন এবং দৈনন্দিন বাণিজ্যের সাথে একীভূত করে সফলভাবে এর বিস্তার ঘটিয়েছে। এই উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি শুধুমাত্র তখনই বাস্তবায়িত হয়েছিল যখন প্রতিষ্ঠানগুলো বিকশিত হয়েছিল এবং সংস্থাগুলো তাদের কর্মপ্রবাহকে নতুন করে ডিজাইন করেছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ব্যবসায় প্রশাসনকেও একটি বিষয় হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছিল, যা জটিল সংস্থাগুলোকে পরিচালনা ও পরিমাপ করার জন্য একটি কাঠামো সরবরাহ করেছিল।
এআই-এর বর্তমান পরিস্থিতি এই ঐতিহাসিক প্যাটার্নটির প্রতিচ্ছবি। প্রযুক্তি বিদ্যমান, তবে এর ব্যাপক প্রসারের জন্য প্রতিষ্ঠান এবং সাংগঠনিক কাঠামোগুলোর অনুরূপ বিবর্তন প্রয়োজন। এই পরিবর্তনগুলো ছাড়া, এআই প্রান্তিক প্রযুক্তি হিসেবে থাকার ঝুঁকিতে রয়েছে, যা এর সম্পূর্ণ অর্থনৈতিক প্রভাব ফেলতে ব্যর্থ হবে।
Discussion
Join the conversation
Be the first to comment