উডস হোল ওশানোগ্রাফিক ইনস্টিটিউশনের (WHOI) বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছেন যে মাঝারি আকারের মাছ, যেমন বিগস্কেল পমফ্রেট, গভীর সমুদ্র এবং পৃষ্ঠের খাদ্যwebs-এর মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ যোগসূত্র হিসাবে কাজ করে। এটি ব্যাখ্যা করে কেন হাঙরের মতো বড় শিকারীরা সমুদ্রের twilight zone-এ উল্লেখযোগ্য সময় কাটায়। গবেষকরা প্রথমবারের মতো স্যাটেলাইট ট্যাগ ব্যবহার করে এই মাছগুলোর গতিবিধি ট্র্যাক করেছেন। এই মাছগুলো দিনের বেলা মেসোপেলাজিক অঞ্চলে থাকে এবং রাতে খাবার সন্ধানের জন্য উপরে উঠে আসে।
মেসোপেলাজিক অঞ্চল, যা twilight zone নামেও পরিচিত, ২০০ থেকে ১,০০০ মিটার (৬৫০ থেকে ৩,৩০০ ফুট) গভীর পর্যন্ত বিস্তৃত। ড্যানি মিয়ার্স, যিনি বিগ-স্কেল পমফ্রেট মাছের শরীরে স্যাটেলাইট-ভিত্তিক ট্র্যাকিং ট্যাগ লাগিয়েছিলেন, তিনি ব্যাখ্যা করেছেন যে এই মাছগুলোর চলাচল জলের স্বচ্ছতার দ্বারা প্রভাবিত হয়, যা সম্ভবত পুরো সমুদ্রের খাদ্য শৃঙ্খলে পরিবর্তন ঘটাতে পারে। এই আচরণ গভীর সমুদ্রের বাস্তুতন্ত্রকে উপরের স্তরগুলোর সাথে সংযুক্ত করে, যা বৃহত্তর শিকারীদের জন্য খাদ্য সরবরাহ করে।
গবেষণাটি সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্রের মধ্যে জটিল মিথস্ক্রিয়াগুলো বোঝার গুরুত্বের ওপর জোর দেয়। ঐতিহ্যগতভাবে, গভীর সমুদ্রের প্রাণীদের অধ্যয়ন করা বেশ কঠিন ছিল। তবে, স্যাটেলাইট ট্যাগের মতো প্রযুক্তির উন্নতির কারণে বিজ্ঞানীরা এখন তাদের আচরণ এবং গতিবিধি আরও নির্ভুলভাবে পর্যবেক্ষণ করতে পারছেন। এই ডেটা কার্যকর সংরক্ষণ কৌশল তৈরি এবং সামুদ্রিক সম্পদ টেকসইভাবে ব্যবস্থাপনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
WHOI-এর মতে, প্রাপ্ত ফলাফলগুলো থেকে বোঝা যায় যে জলবায়ু পরিবর্তন বা দূষণের কারণে সমুদ্রের অবস্থার পরিবর্তন, যেমন জলের ঘোলাটে ভাব বৃদ্ধি, এই মাঝারি আকারের মাছগুলোর migration-এর ধরনে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। এই ব্যাঘাত পুরো খাদ্যwebs-এর ওপর প্রভাব ফেলতে পারে, যা শিকারী এবং শিকার উভয় প্রাণীর সংখ্যাকে প্রভাবিত করবে।
গবেষকরা এখন মেসোপেলাজিক অঞ্চলের অন্যান্য প্রজাতিকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য তাদের ট্র্যাকিং প্রচেষ্টা প্রসারিত করার দিকে মনোনিবেশ করছেন। তারা গভীর সমুদ্রের খাদ্যwebs-এর আরও বিস্তৃত মডেল তৈরি করতে এবং এটি কীভাবে পরিবেশগত পরিবর্তনের সাথে প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে তা বুঝতে চান। দলটি এই ট্র্যাকিং গবেষণা থেকে সংগৃহীত বিশাল পরিমাণ ডেটা বিশ্লেষণ করতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভূমিকা নিয়েও কাজ করার পরিকল্পনা করছে, যা সম্ভবত গভীর সমুদ্রের জীবগুলোর আচরণ সম্পর্কে নতুন ধারণা দিতে পারে।
Discussion
Join the conversation
Be the first to comment