২০২৫ সাল প্রায় শেষের দিকে, এবং এই বছরের সবচেয়ে বড় সিনেমাগুলি স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মে চলে এসেছে, যা দর্শকদের তাদের বাড়ির আরামে বসে উপভোগ করার সুযোগ করে দিচ্ছে। ডিজনি-র "Lilo & Stitch," বক্স অফিসে এক বিশাল সাফল্য যা বিশ্বব্যাপী ১ বিলিয়নের বেশি আয় করেছে, তা এখন Disney -এ পাওয়া যাচ্ছে। ওয়ার্নার ব্রোস.-এর "A Minecraft Movie," যা সিনেমা হলে চলার সময় ৯৫৮ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে, HBO Max এবং Prime Video উভয় প্ল্যাটফর্মেই স্ট্রিমিং হচ্ছে। চীনের অ্যানিমেটেড হিট "Ne Zha 2," যা ২০২৫ সালের সর্বোচ্চ আয় করা চলচ্চিত্র, বিশ্বব্যাপী ২.১ বিলিয়ন ডলারের বেশি আয় করেছে, সেটি HBO Max-এ দেখা যাচ্ছে।
চলচ্চিত্র শিল্প দর্শকদের অভ্যাসের পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়ার কারণে স্ট্রিমিংয়ের দিকে এই পরিবর্তন এসেছে। ডিজিটাল নিউজ ডিরেক্টর জ্যাক শার্ফ এই রিলিজগুলোর তাৎপর্য উল্লেখ করে বলেন, "স্ট্রিমিং পরিষেবাগুলোতে এই ব্লকবাস্টারগুলোর সহজলভ্যতা হোম ভিউয়িং মার্কেটের ক্রমবর্ধমান গুরুত্বকে প্রতিফলিত করে।"
এই চলচ্চিত্রগুলোর সাংস্কৃতিক প্রভাব উল্লেখযোগ্য। "Lilo & Stitch" ক্লাসিক অ্যানিমেটেড ফ্র্যাঞ্চাইজিতে আগ্রহ পুনরুদ্ধার করেছে, যা নস্টালজিক ভক্ত এবং নতুন প্রজন্মের দর্শকদের কাছে আবেদন করেছে। "A Minecraft Movie" ভিডিও গেমের বিশাল জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়েছে, এবং তাদের প্রিয় ব্লকযুক্ত জগৎকে পর্দায় জীবন্ত দেখতে আগ্রহী বিশাল সংখ্যক দর্শককে আকর্ষণ করেছে। "Ne Zha 2" বিশ্বব্যাপী অ্যানিমেশন শিল্পে একটি প্রধান খেলোয়াড় হিসেবে চীনের অবস্থানকে আরও সুসংহত করেছে, এবং উচ্চ-মানের, বাণিজ্যিকভাবে সফল চলচ্চিত্র তৈরি করার ক্ষমতা প্রদর্শন করেছে।
এই প্রধান রিলিজগুলো ছাড়াও, ২০২৫ সালের অন্যান্য উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে "One Battle After Another," "Sinners," "Bugonia," এবং "Weapons"-এর মতো বিভিন্ন চলচ্চিত্র এখন স্ট্রিমিংয়ের জন্য উপলব্ধ। এই চলচ্চিত্রগুলোর সহজলভ্যতা দর্শকদের বিভিন্ন স্বাদ এবং পছন্দ অনুসারে বিস্তৃত পছন্দ সরবরাহ করে।
স্ট্রিমিংয়ের দিকে এই পদক্ষেপ চলচ্চিত্র বিতরণের ভবিষ্যতের জন্যও ইঙ্গিতবাহী। যেহেতু বেশি সংখ্যক দর্শক বাড়িতে সিনেমা দেখতে পছন্দ করছেন, তাই স্টুডিওগুলো ক্রমবর্ধমানভাবে একই সাথে সিনেমা হলে এবং স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মে মুক্তি দেওয়া, অথবা এমনকি শুধুমাত্র স্ট্রিমিংয়ে প্রিমিয়ার করার দিকে মনোযোগ দিচ্ছে। এই প্রবণতা আগামী বছরগুলোতেও অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে, যা ঐতিহ্যবাহী সিনেমা হলের অভিজ্ঞতা এবং ঘরে বসে দেখার সুবিধার মধ্যেকার পার্থক্যকে আরও কমিয়ে দেবে।
Discussion
Join the conversation
Be the first to comment