ফুতুরোলজিস্ট নিক বোস্ট্রমের মতে, ২০৫০ সালের মধ্যে, অতিবুদ্ধিমান কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স) বেশিরভাগ বৈজ্ঞানিক গবেষণা পরিচালনা করতে পারে, যা সম্ভবত মানব গবেষকদের ছাড়িয়ে যাবে। বোস্ট্রম একটি ইমেইলে এই ভবিষ্যদ্বাণীটি জানিয়েছেন, যেখানে তিনি উল্লেখ করেছেন যে মানুষ হয়তো শখের বশে বৈজ্ঞানিক কাজে যুক্ত থাকতে পারে, তবে তাদের অবদান সম্ভবত এআই-এর তুলনায় নগণ্য হবে।
নেচার, একটি শীর্ষস্থানীয় বিজ্ঞান বিষয়ক জার্নাল, ভবিষ্যতের বৈজ্ঞানিক প্রবণতা অনুসন্ধানে বিশেষভাবে পরিচিত। জার্নালটি এর আগে ২১ শতকের শুরুতে বিজ্ঞান বিষয়ক অগ্রগতির পূর্বাভাস দেওয়ার জন্য বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ করেছিল। তৎকালীন সম্পাদক ফিলিপ ক্যাম্পবেল কর্তৃক করা একটি উল্লেখযোগ্য ভবিষ্যদ্বাণী ছিল ২১০০ সালের মধ্যে ডিএনএ-ভিত্তিক নয় এমন প্রাণের আবিষ্কার, যা ক্যাম্পবেল নিজেই পরে "বোকা" বলে মনে করেছিলেন।
এআই-এর ক্রমবর্ধমান পরিশীলিততা এবং বৈজ্ঞানিক গবেষণায় এর সম্ভাব্য প্রয়োগ মানব বিজ্ঞানীদের ভবিষ্যৎ ভূমিকা সম্পর্কে প্রশ্ন তোলে। যদিও নিশ্চিতভাবে ভবিষ্যতের পূর্বাভাস দেওয়া অসম্ভব, তবুও এই পূর্বাভাসগুলি বৈজ্ঞানিক অগ্রগতির সম্ভাব্য গতিপথ এবং বিভিন্ন শিল্পের উপর এর প্রভাব সম্পর্কে মূল্যবান অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করে। গবেষণার স্বয়ংক্রিয়তা আবিষ্কারের গতিকে ত্বরান্বিত করতে পারে, যা সম্ভবত ওষুধ, উপকরণ বিজ্ঞান এবং শক্তির মতো ক্ষেত্রগুলিতে যুগান্তকারী আবিষ্কারের দিকে পরিচালিত করবে। তবে, এটি এআই-চালিত গবেষণার নিয়ন্ত্রণ ও তত্ত্বাবধান সম্পর্কে নৈতিক বিবেচনাও উত্থাপন করে।
Discussion
Join the conversation
Be the first to comment