ইরান-ভেনেজুয়েলার ড্রোন সহযোগিতা লক্ষ্য করে মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, ভেনেজুয়েলার কোম্পানি এম্প্রেসা অ্যারোনটিকা ন্যাসিওনাল এসএ (ইএএনএসএ) ইরানি নকশার ড্রোন সংগ্রহে জড়িত। মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ জানায়, ইএএনএসএ ইরানের কুদস এভিয়েশন ইন্ডাস্ট্রিজের কাছ থেকে ড্রোন সংযোজন তদারকি ও রক্ষণাবেক্ষণ করে, যা আগে থেকেই মার্কিন নিষেধাজ্ঞার অধীনে রয়েছে।
ট্রেজারি বিভাগ ইএএনএসএ-র চেয়ারম্যান হোসে জেসুস উর্দানেতা গঞ্জালেজের ওপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। তার বিরুদ্ধে ভেনেজুয়েলা ও ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর কর্মীদের সঙ্গে ড্রোন উৎপাদনে সমন্বয়ের অভিযোগ আনা হয়েছে। ওয়াশিংটন এবং তেহরান ও কারাকাসের মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে থাকার মধ্যেই এই পদক্ষেপগুলো নেওয়া হলো।
এই নিষেধাজ্ঞাগুলো ইএএনএসএ এবং উর্দানেতা গঞ্জালেজের মার্কিন আর্থিক ব্যবস্থায় প্রবেশাধিকার সীমিত করতে এবং মার্কিন সংস্থাগুলোর সঙ্গে তাদের ব্যবসা করার ক্ষমতা কমাতে ডিজাইন করা হয়েছে। মার্কিন সরকার ইরান ও ভেনেজুয়েলার মধ্যে গভীর সম্পর্ক নিয়ে, বিশেষ করে সামরিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে, ক্রমবর্ধমানভাবে উদ্বিগ্ন। ইরান ল্যাটিন আমেরিকাতে তার প্রভাব বিস্তার করতে চাইছে, অন্যদিকে ভেনেজুয়েলা, মার্কিন নিষেধাজ্ঞার অধীনে থাকায় বিকল্প অংশীদার খুঁজছে।
ট্রেজারি বিভাগের ঘোষণায় কথিত বাণিজ্যে জড়িত নির্দিষ্ট ধরণের ড্রোনের বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলা হয়নি, তবে ইরান ২০২৩ সালের আগস্ট মাসে মোহাজের-১০ ড্রোন উন্মোচন করে, যা তাদের ড্রোন প্রযুক্তির অগ্রগতি প্রদর্শন করে। এর আগে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ড্রোন কর্মসূচি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে, আঞ্চলিক সংঘাত এবং অ-রাষ্ট্রীয় অভিনেতাদের কাছে এর বিস্তার ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে বলে উল্লেখ করেছে।
এই নিষেধাজ্ঞাগুলো ইরান ও তার মিত্রদের দ্বারা পরিচালিত অস্থিতিশীল কর্মকাণ্ড মোকাবেলার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সর্বশেষ প্রচেষ্টা। যুক্তরাষ্ট্র ইরান ও ভেনেজুয়েলা উভয়ের বিরুদ্ধেই নিষেধাজ্ঞার একটি জটিল জাল বিস্তার করেছে, যা তাদের জ্বালানি খাত, আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন ও দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের লক্ষ্য করে। এই নিষেধাজ্ঞাগুলো লক্ষ্যভুক্ত দেশগুলোর আচরণ পরিবর্তনে কতটা কার্যকর, তা নীতিনির্ধারক ও বিশ্লেষকদের মধ্যে বিতর্কের বিষয়। ইরান ও ভেনেজুয়েলার সরকার এখনো পর্যন্ত নতুন নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি। পরিস্থিতি এখনো পরিবর্তনশীল এবং যুক্তরাষ্ট্র ইরান ও ভেনেজুয়েলার মধ্যে সম্পর্ক পর্যবেক্ষণ অব্যাহত রাখায় আরও উন্নয়নের প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
Discussion
Join the conversation
Be the first to comment