ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের মতে, সাহায্য সংস্থাগুলো তাদের কর্মীদের "সম্পূর্ণ" ব্যক্তিগত বিবরণ সরবরাহ করেনি, যা হালনাগাদ করা নিয়মের অধীনে একটি প্রয়োজনীয়তা ছিল। বন্ধের মুখে থাকা সংস্থাগুলোর মধ্যে অ্যাকশনএইড, ইন্টারন্যাশনাল রেসকিউ কমিটি এবং নরওয়েজিয়ান রিফিউজি কাউন্সিলের মতো সুপরিচিত আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থাগুলো (আইএনজিও) রয়েছে।
এই সিদ্ধান্ত যুক্তরাজ্যসহ ১০টি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের কাছ থেকে তীব্র সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, কানাডা, ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, আইসল্যান্ড, জাপান, নরওয়ে, সুইডেন এবং সুইজারল্যান্ডের মন্ত্রীরা একটি যৌথ বিবৃতিতে নতুন নিয়মকে "সীমাবদ্ধ" এবং "অগ্রহণযোগ্য" বলে নিন্দা করেছেন। তারা সতর্ক করে দিয়েছিলেন যে আইএনজিও কার্যক্রম বন্ধ করতে বাধ্য করা হলে "স্বাস্থ্যসেবা সহ জরুরি পরিষেবাগুলোতে প্রবেশাধিকারের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলবে।" মন্ত্রীরা গাজার "ভয়াবহ" মানবিক পরিস্থিতির উপর জোর দিয়েছেন এবং ইসরায়েলের সরকারকে আইএনজিওগুলো যাতে "টেকসই এবং অনুমানযোগ্য উপায়ে" কাজ করতে পারে তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন।
নতুন নিবন্ধন বিধি এবং পরবর্তী লাইসেন্স বাতিলকরণ এই অঞ্চলে চলমান উত্তেজনা এবং মানবিক উদ্বেগের প্রেক্ষাপটে ঘটেছে। গাজা, বিশেষ করে, সংঘাত এবং চলাচলের উপর বিধিনিষেধের কারণে উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে, যার ফলে জরুরি পরিষেবা প্রদানের জন্য সাহায্য সংস্থাগুলোর উপর নির্ভরতা বেড়েছে। ইসরায়েলি সরকারের মন্ত্রণালয় বাতিলকরণের প্রাথমিক যুক্তিসঙ্গত কারণ দর্শানো ছাড়া এখনও পর্যন্ত আর কোনও বিবৃতি দেয়নি। ক্ষতিগ্রস্ত সাহায্য সংস্থাগুলো এখনও পর্যন্ত কোনো যৌথ প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
এই সিদ্ধান্তের প্রভাব সুদূরপ্রসারী হতে পারে, যা সম্ভবত জরুরি ত্রাণ সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে এবং বিদ্যমান মানবিক সংকটকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। পরিস্থিতি এখনও পরিবর্তনশীল, এবং আন্তর্জাতিক অভিনেতারা ইসরায়েলকে তার অবস্থান পুনর্বিবেচনা করতে এবং গাজা ও পশ্চিম তীরে অত্যাবশ্যকীয় সাহায্য পরিষেবাগুলোর অব্যাহত কার্যক্রম নিশ্চিত করতে রাজি করানোর চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ায় কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
Discussion
Join the conversation
Be the first to comment