আন্তর্জাতিক সাহায্য-সহায়তায় উল্লেখযোগ্য বাধা সত্ত্বেও, ২০২৫ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্যখাতে লক্ষণীয় অগ্রগতি দেখা গেছে, বিশেষ করে প্রতিরোধমূলক স্বাস্থ্য পরিচর্যা কৌশলগুলোতে। বছরটিতে একক-ডোজের হিউম্যান প্যাপিলোমাভাইরাস (এইচপিভি) ভ্যাকসিন রেজিমেনের ব্যাপক প্রচলন দেখা যায়, যা পাকিস্তান-এর মতো দেশগুলোতে জরায়ুমুখ ক্যানসার প্রতিরোধে আরও সহজলভ্য এবং সাশ্রয়ী পদ্ধতি সরবরাহ করে।
একক-ডোজ কৌশলের দিকে এই পরিবর্তনটি বহু বছরের গবেষণার ফলস্বরূপ এসেছে, যা বিশেষত অল্পবয়সী মেয়েদের জন্য এর কার্যকারিতা প্রমাণ করে। বেশি বয়সী মেয়েরা দুটি ডোজ থেকে উপকৃত হতে পারে। এই উন্নয়নটি নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে একাধিক ডোজের ভ্যাকসিন সূচি বাস্তবায়ন করা কঠিন হতে পারে, কারণ সেখানে লজিস্টিক্যাল এবং অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতা রয়েছে।
তবে, এই অগ্রগতিগুলো বেশ কিছু চ্যালেঞ্জের মধ্যে ঘটেছে। ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ইউএসএআইডি)-এর বিলুপ্তি এবং পরবর্তীতে মার্কিন সরকার কর্তৃক বাজেট कटौती বিশ্ব স্বাস্থ্য কর্মসূচিগুলোকে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত করেছে। এই कटौतीগুলো রোগ নিয়ন্ত্রণ উদ্যোগ, বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা বিধান এবং মা ও শিশু স্বাস্থ্য পরিষেবাগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্যের প্রতি প্রতিশ্রুতি কমানোর ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র একা ছিল না। ফ্রান্স, জার্মানি এবং যুক্তরাজ্যও তাদের অগ্রাধিকারগুলো পুনর্বিবেচনা করেছে, যার ফলে আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য উদ্যোগের জন্য তহবিল হ্রাস পেয়েছে। আর্থিক সহায়তার এই সম্মিলিত হ্রাস বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য কর্মরত সংস্থাগুলোর জন্য একটি অস্থির পরিবেশ তৈরি করেছে।
এই আর্থিক সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও, একক-ডোজ এইচপিভি ভ্যাকসিনের গ্রহণ একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ। আশা করা হচ্ছে যে এই সুবিন্যস্ত পদ্ধতিটি আরও বিস্তৃত কভারেজ সক্ষম করবে এবং বিশ্বব্যাপী জরায়ুমুখ ক্যানসারের প্রকোপ কমাতে দীর্ঘমেয়াদী অবদান রাখবে। আশা করা যাচ্ছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা একক-ডোজ রেজিমেনকে সমর্থন করে এমন ক্রমবর্ধমান প্রমাণের প্রতিফলন ঘটিয়ে হালনাগাদ করা নির্দেশিকা প্রকাশ করবে, যা আগামী বছরগুলোতে অতিরিক্ত দেশগুলোতে ভ্যাকসিন কৌশলকে প্রভাবিত করতে পারে।
Discussion
Join the conversation
Be the first to comment