সুইডেনের একটি প্রধান ফার্মেসি চেইন Apotek Hjärtat, সুইডিশ সরকারের কাছ থেকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে এই সমস্যা সমাধানের আহ্বানের পর কর্মীদের একাকিত্ব মোকাবিলা করার জন্য "ফ্রেন্ডকেয়ার" স্কিম চালু করেছে, যেখানে কর্মীদের সামাজিকতার জন্য অর্থ পরিশোধ করা হবে। এপ্রিল মাসে শুরু হওয়া এই পাইলট প্রোগ্রামের অধীনে ১১ জন অংশগ্রহণকারী কর্মীকে প্রতি সপ্তাহে ১৫ মিনিট বা প্রতি মাসে এক ঘণ্টা করে কর্মঘণ্টার মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক জোরদার করতে বা নতুন বন্ধু তৈরি করার জন্য সময় দেওয়া হবে।

Apotek Hjärtat-এর কালমার রিটেইল পার্ক আউটলেটের ৪৫ বছর বয়সী ফার্মাসি কর্মী ইয়াসমিন লিন্ডবার্গ এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে একজন। লিন্ডবার্গ জানান, চার বছর আগে তার সঙ্গীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর থেকে তিনি "বেশ একা" বোধ করছেন, যার ফলে সামাজিক মেলামেশা কমে গেছে। তিনি আরও জানান, কাজের চাপের কারণে প্রায়ই তিনি এতটাই ক্লান্ত থাকেন যে সামাজিকতা করার মতো মানসিকতা থাকে না।

এই উদ্যোগের লক্ষ্য হল সুইডেনে ক্রমবর্ধমান একাকিত্বের উদ্বেগ মোকাবিলা করা। Apotek Hjärtat-এর উপর "ফ্রেন্ডকেয়ার" স্কিমের আর্থিক প্রভাব প্রকাশ করা না হলেও, কোম্পানির বিনিয়োগ কর্মীদের সুস্থতার গুরুত্ব এবং উৎপাদনশীলতা ও কর্মী ধরে রাখার ক্ষেত্রে এর সম্ভাব্য প্রভাবকে স্বীকৃতি দেওয়ার একটি বৃহত্তর প্রবণতাকে প্রতিফলিত করে। ফার্মেসি চেইনটি এখনও পর্যন্ত জানায়নি যে এই প্রোগ্রামটি কর্মীদের কর্মক্ষমতা বা সন্তুষ্টির উপর কোনও প্রভাব ফেলেছে কিনা।

সুইডিশ সরকার সক্রিয়ভাবে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে একাকিত্ব মোকাবিলায় সক্রিয় ভূমিকা নিতে উৎসাহিত করছে, কারণ তারা এটিকে সম্ভাব্য অর্থনৈতিক পরিণতি সহ একটি সামাজিক সমস্যা হিসেবে দেখছে। সুইডিশ কর্মীবাহিনী এবং বৃহত্তর অর্থনীতির উপর এই ধরনের উদ্যোগের দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব এখনও দেখার বিষয়। Apotek Hjärtat প্রাথমিক ১১ জন অংশগ্রহণকারীর বাইরে পাইলট প্রোগ্রামটি সম্প্রসারণের কোনও পরিকল্পনা ঘোষণা করেনি।