কমোডোর ৬৪, একটি ৮-বিট ব্যক্তিগত কম্পিউটার যা ১৯৮২ সালে প্রথম বাজারে আসে, সেটি আবার ফিরিয়ে এনেছেন রেট্রো গেমিং ইউটিউবার ক্রিশ্চিয়ান পেরি ফ্র্যাক্টিক সিম্পসন, যিনি ১৯৯৪ সালে কোম্পানিটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর কমোডোর ইন্টারন্যাশনাল নামের স্বত্ব কিনে নেন। এই নতুন সংস্করণ, যার নাম দেওয়া হয়েছে কমোডোর ৬৪ আলটিমেট, এটির লক্ষ্য হল একদম অরিজিনাল হার্ডওয়্যারের মতো করে তৈরি করা, ক্ল্যাসিক পেরিফেরালগুলোর সাথে সামঞ্জস্য বজায় রাখা এবং এর সাথে আধুনিক কিছু সুবিধা যোগ করা।
কমোডোর ৬৪ এর প্রথম আত্মপ্রকাশের পর এটি সর্বকালের সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া ব্যক্তিগত কম্পিউটার হয়ে ওঠে, যা তার বেইজ রঙের প্লাস্টিকের শেল এবং ইন্টিগ্রেটেড কীবোর্ডের জন্য পরিচিত। সিম্পসনের এই প্রচেষ্টা কমোডোর ৬৪ কে ফিরিয়ে আনার প্রথম চেষ্টা নয়, তবে এটিকে সম্ভবত আরও উন্নত পুনর্নির্মাণ হিসেবে প্রশংসা করা হচ্ছে।
প্রাথমিক পর্যালোচনা অনুসারে, কমোডোর ৬৪ আলটিমেট একটি অসাধারণ খাঁটি অভিজ্ঞতা প্রদান করে, যা সেই সমস্ত মানুষদের কাছে আকর্ষণীয় হবে যাদের মধ্যে পুরনো দিনের স্মৃতি অথবা অরিজিনাল মেশিনটি সম্পর্কে জানার গভীর আগ্রহ রয়েছে। তবে, এর খাঁটিত্ব কিছু অসুবিধা নিয়ে আসে, যার মধ্যে নতুন ব্যবহারকারীদের জন্য সহজে বোধগম্য না হওয়া এবং অরিজিনাল হার্ডওয়্যারের অন্তর্নিহিত ধীর গতি অন্যতম।
পুনর্জন্ম হওয়া এই রিগটি কমোডোরের মাধ্যমে কেনা যাবে, যেখানে বেইজ মডেলটির দাম ৩৫০ ডলার (আগে ৩০০ ডলার ছিল) এবং স্টারলাইট সংস্করণটির দাম ৪০০ ডলার (আগে ৩৫০ ডলার ছিল)। কমোডোর ৬৪-এর এই পুনরপ্রকাশ এমন এক সময়ে এসেছে যখন রেট্রো গেমিং এবং ডিজিটাল ডিটক্সের প্রবণতা বাড়ছে, যা সম্ভবত এর আবেদনকে শুধুমাত্র কট্টর ভক্তদের বাইরেও প্রসারিত করতে পারে।
Discussion
Join the conversation
Be the first to comment