মঙ্গলবার রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা TASS-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়া বেলারুশে তাদের ওরেষ্ণিক হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা মোতায়েন করেছে। এটি মোবাইল ওরেষ্ণিক সিস্টেমগুলোর প্রথম প্রকাশ্য প্রদর্শনী এবং এটি সম্ভাব্য সংঘাতের পরিস্থিতিতে ইউরোপের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার রাশিয়ার সক্ষমতা বাড়াতে পারে।
ওরেষ্ণিক একটি মোবাইল হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দাবি করেছেন যে ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর গতি শব্দের চেয়ে দশগুণ বেশি হওয়ায় এগুলোকে কার্যত আটকানো অসম্ভব।
ইউরোপে উত্তেজনা বেড়ে যাওয়ার মধ্যে এই মোতায়েন করা হলো। রাশিয়া ও বেলারুশের মধ্যে চলমান যৌথ সামরিক মহড়া, যেমন জাপাদ-২০২৫ অনুশীলন, যেখানে ইস্কান্দার-এম ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার ক্রুরা দলবদ্ধভাবে হামলার অনুশীলন করেছে, সেটিও এর অন্তর্ভুক্ত। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মতে, এই মহড়াগুলো দুটি দেশের মধ্যে সামরিক সহযোগিতা এবং প্রস্তুতি বাড়াতে ডিজাইন করা হয়েছে।
ওরেষ্ণিকের মতো হাইপারসনিক অস্ত্রগুলো ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি। তাদের চরম গতি এবং কৌশলগত চালচলন বিদ্যমান ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, বেলারুশে এই মোতায়েন ন্যাটো এবং অন্যান্য ইউরোপীয় দেশগুলোর কাছে রাশিয়ার সামরিক সক্ষমতা এবং এই অঞ্চলে শক্তি প্রদর্শনের ইচ্ছার একটি স্পষ্ট বার্তা পাঠায়।
ওরেষ্ণিক সিস্টেমের সুনির্দিষ্ট পাল্লা এবং পেলোড ক্ষমতা এখনো শ্রেণীবদ্ধ। তবে সামরিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বেলারুশে ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করার ফলে পূর্ব ও মধ্য ইউরোপের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ এর আঘাত হানার পাল্লার মধ্যে চলে এসেছে। এই উন্নয়নের ফলে ইউরোপীয় দেশগুলো এবং ন্যাটোর মধ্যে প্রতিরক্ষা কৌশলগুলোর আরও বিশ্লেষণ এবং সম্ভাব্য সমন্বয় দেখা যেতে পারে।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বেলারুশে মোতায়েনের সময়কাল বা ওরেষ্ণিক সিস্টেমের নির্দিষ্ট কর্মপরিধি সম্পর্কে এখনো কোনো বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেনি।
Discussion
Join the conversation
Be the first to comment