সৌদি সামরিক কর্মকর্তা ও জোটের মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তুর্কি আল-মালকি জানান, অস্ত্রগুলো সাউদার্ন ট্রানজিশনাল কাউন্সিলের (এস.টি.সি.) জন্য নির্ধারিত ছিল, যা সংযুক্ত আরব আমিরাত-সমর্থিত একটি বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী এবং সম্প্রতি দক্ষিণ ইয়েমেনের ভূখণ্ডের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। তবে আমিরাতি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দাবি করেছে যে চালানে কোনো অস্ত্র ছিল না।
সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট ২০১৪ সাল থেকে ইয়েমেনের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারকে সমর্থন করে আসছে, যখন দেশটি গৃহযুদ্ধে নিমজ্জিত হয় এবং বিভিন্ন অংশে বিভক্ত হয়ে যায়। এই সংঘাত একটি জটিল ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি তৈরি করেছে, যেখানে একাধিক পক্ষ ক্ষমতা ও প্রভাবের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। সংযুক্ত আরব আমিরাত জোটে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার ছিল, কিন্তু এস.টি.সি.-কে তাদের সমর্থন সৌদি-সমর্থিত সরকারের সঙ্গে বিরোধ সৃষ্টি করেছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দুই প্রধান মিত্র সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার কারণে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহানের মধ্যে একটি ফোনালাপ হয়েছে বলে জানান মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের একজন মুখপাত্র। কথোপকথনে ইয়েমেনের চলমান উত্তেজনা নিয়ে আলোচনা করা হয়।
আমিরাতি সৈন্যদের প্রত্যাহার এবং সৌদি বিমান হামলা ইয়েমেনের সংঘাতের গতিশীলতায় একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন এনেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সৈন্য প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত এই অঞ্চলে তাদের কৌশলগত অগ্রাধিকারের পরিবর্তন নির্দেশ করে। সৌদি বিমান হামলা আমিরাত-সমর্থিত এস.টি.সি.-এর মোকাবিলা করার ইচ্ছার ইঙ্গিত দেয়, যা সম্ভবত সংঘাতকে আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। পরিস্থিতি এখনও পরিবর্তনশীল, এবং এই ঘটনার দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব এখনও দেখার বাকি।
Discussion
Join the conversation
Be the first to comment