২০২৫ সাল ছিল ২১ শতকের প্রথম এক চতুর্থাংশের সমাপ্তি, যা বিশ্বজুড়ে মার্কিন সামরিক কার্যকলাপ দ্বারা উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত একটি সময়কাল। ১১ই সেপ্টেম্বর, ২০০১ সালের হামলার পর, তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জর্জ ডব্লিউ বুশ "সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বিশ্বযুদ্ধ" শুরু করেন, যার ফলস্বরূপ আফগানিস্তান, ইরাক এবং অন্যান্য অঞ্চলে সামরিক হস্তক্ষেপ ঘটে।
বুশ, ৯/১১ হামলার পরে, এই সংঘাতকে সভ্যতার সুরক্ষা হিসাবে অভিহিত করেছিলেন। তিনি ঘোষণা করেন, "আমাদের marching orders এসে গেছে। আমার আমেরিকান ভাই ও বোনেরা, চলুন ঝাঁপিয়ে পড়ি", যা সামরিক সম্পৃক্ততার একটি দীর্ঘ সময়ের সূচনা করে।
এই হস্তক্ষেপগুলির পরিণতি সুদূরপ্রসারী হয়েছে, যার ফলে লক্ষ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়েছে এবং অসংখ্য দেশ অস্থিতিশীল হয়েছে। বিশেষ করে আফগানিস্তান ও ইরাকের যুদ্ধ আন্তর্জাতিক সমালোচনার জন্ম দিয়েছে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতির কার্যকারিতা ও নৈতিকতা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করেছে।
"সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ"-এর আন্তর্জাতিক সম্পর্কের উপরও একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ছিল, যা জোটের পরিবর্তনকে উৎসাহিত করে এবং বিশ্বের কিছু অংশে আমেরিকা-বিরোধী মনোভাব বাড়িয়ে তোলে। অনেক দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একতরফা পদক্ষেপের বৈধতা ও ন্যায্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে, যার ফলে কূটনৈতিক উত্তেজনা বেড়েছে।
ভবিষ্যতের দিকে তাকালে, বিগত ২৫ বছরের উত্তরাধিকার বিশ্ব রাজনীতিকে প্রভাবিত করে চলেছে। সন্ত্রাসবাদ, আঞ্চলিক অস্থিরতা এবং মানবিক সংকট সহ চলমান চ্যালেঞ্জগুলো আংশিকভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক হস্তক্ষেপের ফলস্বরূপ। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এই সমস্যাগুলো মোকাবেলা করার পাশাপাশি ভবিষ্যতের সংঘাত প্রতিরোধ এবং বিশ্বব্যাপী বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথ খুঁজতে হবে।
Discussion
Join the conversation
Be the first to comment