সৌদি সামরিক কর্মকর্তা ও জোটের মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তুর্কি আল-মালকি জানান, অস্ত্রগুলো এমিরতি-সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী সাউদার্ন ট্রানজিশনাল কাউন্সিলের (এস.টি.সি.) জন্য নির্ধারিত ছিল। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে এস.টি.সি. দক্ষিণ ইয়েমেনের ভূখণ্ডের নিয়ন্ত্রণ লাভ করেছে। এমির্যাতি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দাবি করেছে যে চালানে কোনো অস্ত্র ছিল না, যা তারা অস্বীকার করেছে।
সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট ২০১৪ সাল থেকে ইয়েমেনের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারকে সমর্থন করে আসছে, যখন দেশটি গৃহযুদ্ধে নিমজ্জিত হয় এবং বিভিন্ন অংশে বিভক্ত হয়ে যায়। এই সংঘাত একটি জটিল ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি তৈরি করেছে, যেখানে মার্কিন মিত্ররা একে অপরের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।
মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছে যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ইয়েমেনের ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা নিয়ে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহানের সাথে কথা বলেছেন। এই কথোপকথন অস্থিতিশীল পরিস্থিতি এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তার উপর এর সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগকে তুলে ধরে।
এমির্যাতি সৈন্যদের প্রত্যাহার এবং সৌদি বিমান হামলা ইয়েমেনি সংঘাতের গতিশীলতায় একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন এনেছে। ইউ.এ.ই. সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার ছিল, কিন্তু কৌশল এবং ইয়েমেনের ভবিষ্যৎ নিয়ে মতবিরোধের কারণে সম্পর্ক দুর্বল হয়ে গেছে বলে মনে হচ্ছে। ইউ.এ.ই.-সমর্থিত সাউদার্ন ট্রানজিশনাল কাউন্সিল দক্ষিণ ইয়েমেনের জন্য বৃহত্তর স্বায়ত্তশাসন চায়, যা সৌদি-সমর্থিত সরকারের একটি ঐক্যবদ্ধ রাষ্ট্র বজায় রাখার লক্ষ্যের সাথে সাংঘর্ষিক। এই উত্তেজনা অব্যাহত থাকায় ইয়েমেনের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত রয়ে গেছে।
Discussion
Join the conversation
Be the first to comment