ইউনিভার্সিটি অফ ইলিনয় শিকাগোর গবেষণা অনুসারে, প্লেটলেট ফ্যাক্টর ৪ নামক একটি প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট প্রোটিনের হ্রাস ইমিউন সিস্টেমের বার্ধক্যে অবদান রাখতে পারে। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৫-এ প্রকাশিত গবেষণাটি বলছে যে এই প্রোটিন, যা বয়সের সাথে সাথে হ্রাস পায়, রক্ত স্টেম সেল আচরণ নিয়ন্ত্রণে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং এর অভাবে ক্যান্সার, প্রদাহ এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়তে পারে।
গবেষকরা আবিষ্কার করেছেন যে বয়স্ক ইঁদুর এবং পরীক্ষাগারে মানুষের স্টেম কোষে প্লেটলেট ফ্যাক্টর ৪ পুনরুদ্ধার করলে বার্ধক্যজনিত রক্ত এবং ইমিউন কোষগুলি পুনরুজ্জীবিত হয়। এই আবিষ্কারটি কেন বয়স বাড়ার সাথে সাথে ইমিউন সিস্টেম দুর্বল হয়ে যায় তার একটি সম্ভাব্য ব্যাখ্যা দেয় এবং এই প্রক্রিয়াটি বিপরীত করার জন্য একটি সম্ভাব্য পথের পরামর্শ দেয়।
"বয়স বাড়ার সাথে সাথে রক্ত এবং ইমিউন কোষ তৈরির জন্য দায়ী স্টেম কোষগুলিতে জেনেটিক মিউটেশন জমা হতে পারে," ইলিনয় শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমিউনোলজি বিভাগের অধ্যাপক এবং এই গবেষণার প্রধান লেখক ডঃ [কাল্পনিক নাম] ব্যাখ্যা করেছেন। "এই মিউটেশনগুলি বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকি বাড়ায় এবং আমাদের গবেষণা ইঙ্গিত দেয় যে প্লেটলেট ফ্যাক্টর ৪ এটি প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।"
গবেষণাটি বার্ধক্য প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণকারী জটিল প্রক্রিয়াগুলি, বিশেষত ইমিউন সিস্টেমের মধ্যে বোঝা কত গুরুত্বপূর্ণ, তা তুলে ধরে। বয়সের সাথে ইমিউন সিস্টেমের দুর্বলতা, যা ইমিউনোসেনেসেন্স নামে পরিচিত, বয়স্কদের সংক্রমণ এবং রোগের জন্য আরও দুর্বল করে তোলে।
প্লেটলেট ফ্যাক্টর ৪ রক্ত স্টেম কোষের সংখ্যাবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করে বলে মনে হয়। এই প্রোটিনের মাত্রা হ্রাস হওয়ার সাথে সাথে স্টেম কোষগুলি খুব অবাধে সংখ্যাবৃদ্ধি করতে পারে, অস্বাস্থ্যকর, মিউটেশন-প্রবণ আচরণের দিকে চলে যেতে পারে। গবেষণা দল দেখেছে যে প্রোটিন পুনরুদ্ধার করলে স্টেম কোষের আচরণ স্বাভাবিক করতে সহায়তা করে, কার্যকরভাবে বয়স্ক কোষগুলিকে আবার যুবক করে তোলে।
[কাল্পনিক প্রতিষ্ঠান]-এর জেরিয়াট্রিক্স বিশেষজ্ঞ ডঃ [কাল্পনিক নাম], যিনি এই গবেষণায় জড়িত ছিলেন না, তিনি বলেন, "এটি বয়স্কদের মধ্যে ইমিউন ফাংশন উন্নত করতে আমরা কীভাবে হস্তক্ষেপ করতে পারি তা বোঝার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। যদিও আরও গবেষণার প্রয়োজন, তবে এই ফলাফলগুলি থেকে বোঝা যায় যে প্লেটলেট ফ্যাক্টর ৪-কে লক্ষ্যবস্তু করা একটি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থেরাপিউটিক কৌশল হতে পারে।"
গবেষকরা বর্তমানে সেই সঠিক প্রক্রিয়াগুলি নিয়ে কাজ করছেন যার মাধ্যমে প্লেটলেট ফ্যাক্টর ৪ রক্ত স্টেম কোষের উপর তার প্রভাব ফেলে। তারা মানুষের মধ্যে নিরাপদে এবং কার্যকরভাবে প্রোটিনের মাত্রা পুনরুদ্ধারের সম্ভাব্য পদ্ধতিগুলিও অনুসন্ধান করছেন। ভবিষ্যতের গবেষণাগুলি এই ফলাফলগুলিকে ক্লিনিকাল অ্যাপ্লিকেশনগুলিতে অনুবাদ করার দিকে মনোনিবেশ করবে, যার চূড়ান্ত লক্ষ্য এমন হস্তক্ষেপ তৈরি করা যা সারা জীবন একটি স্বাস্থ্যকর ইমিউন সিস্টেম বজায় রাখতে সহায়তা করতে পারে।
Discussion
Join the conversation
Be the first to comment