উপসাগরের উন্মোচন কোরীয় উপদ্বীপে উত্তেজনা বৃদ্ধির মধ্যে ঘটেছে। দক্ষিণ কোরিয়াও তার নিজস্ব সাবমেরিন সক্ষমতা তৈরি করছে। বিশ্লেষকরা মনে করেন যে উভয় দেশই অনুভূত দুর্বলতা এবং বিবর্তনশীল ভূ-রাজনৈতিক গতিশীলতার প্রতিক্রিয়ায় তাদের সামুদ্রিক শক্তি জোরদার করতে চাইছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ মিত্র, এই অঞ্চলে তার নিরাপত্তা কৌশল সামঞ্জস্য করছে, যার ফলে উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়া উভয়ই তাদের প্রতিরক্ষা ভঙ্গি পুনর্মূল্যায়ন করছে। কিছু বিশেষজ্ঞ মনে করেন যে উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক সাবমেরিন অনুসরণ করার লক্ষ্য হল তার পারমাণবিক প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা এবং দ্বিতীয়বার আঘাত করার বিকল্প নিশ্চিত করা।
উত্তর কোরিয়ার সরকার কিম জং উন কর্তৃক সাবমেরিন পরিদর্শনের ছবি বিতরণ করেছে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকদের অনুষ্ঠানে প্রবেশাধিকার দেওয়া হয়নি, এবং ছবিটির বিষয়বস্তু স্বাধীনভাবে যাচাই করা যায়নি। ছবিটিতে কোরীয় সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি (KCNA)-এর ওয়াটারমার্ক ছিল।
উত্তর কোরিয়ার সাবমেরিন উন্মোচন নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি জারি করেনি। তবে সরকারি কর্মকর্তারা ব্যক্তিগতভাবে এই অঞ্চলে পারমাণবিক সাবমেরিন অস্ত্র প্রতিযোগিতার সম্ভাব্য অস্থিতিশীল প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এই উন্নয়ন অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আলোচনা এবং উত্তর-পূর্ব এশিয়ার সামগ্রিক নিরাপত্তা পরিস্থিতির ভবিষ্যৎ সম্পর্কে প্রশ্ন তুলেছে।
Discussion
Join the conversation
Be the first to comment