মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর মঙ্গলবার ঘোষণা করেছে যে তারা পাঁচজন ইউরোপীয়কে বার করছে, যাদেরকে তারা মার্কিন প্রযুক্তি সংস্থাগুলিকে সেন্সর বা দমন করার জন্য চাপ সৃষ্টি করার প্রচেষ্টার সাথে জড়িত বলে অভিযুক্ত করেছে। এই পদক্ষেপটি মে মাসে ঘোষিত একটি নতুন ভিসা নীতির অধীনে নেওয়া হয়েছে, যার লক্ষ্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সুরক্ষিত বক্তৃতার সেন্সরশিপের জন্য দায়ী বিদেশীদের প্রবেশাধিকার সীমিত করা।
পররাষ্ট্র সচিব মার্কো রুবিওর মতে, প্রশ্নবিদ্ধ পাঁচজন ইউরোপীয় হল "চরমপন্থী" সক্রিয়কর্মী এবং "অস্ত্রীভূত" অ-সরকারী সংস্থা, যারা মার্কিন মতামতকে শাস্তি দেওয়ার জন্য মার্কিন প্ল্যাটফর্মগুলিকে বাধ্য করার সংগঠিত প্রচেষ্টায় জড়িত। রুবিও বলেছেন, "খুব দীর্ঘ সময় ধরে, ইউরোপের মতাদর্শীরা মার্কিন প্ল্যাটফর্মগুলিকে শাস্তি দেওয়ার জন্য বাধ্য করার সংগঠিত প্রচেষ্টার নেতৃত্ব দিয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসন আর এই ভয়াবহ অতিরিক্ত-আঞ্চলিক সেন্সরশিপের কাজগুলিকে সহ্য করবে না।" রুবিও একটি সামাজিক মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম X-এ এই মন্তব্যগুলি করেছেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশাধিকার থেকে বার করা পাঁচজন ব্যক্তির মধ্যে তিনজন সক্রিয়কর্মী এবং দুইজন অ-সরকারী সংস্থার প্রতিনিধি রয়েছে। পররাষ্ট্র দফতর নিরাপত্তা উদ্বেগের কারণে ব্যক্তিদের নাম প্রকাশ করেনি। মে মাসে ঘোষিত ভিসা নীতির লক্ষ্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সুরক্ষিত বক্তৃতার সেন্সরশিপের জন্য দায়ী বিদেশীদের প্রবেশাধিকার সীমিত করা।
এই পদক্ষেপটি মার্কিন সামাজিক মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলিতে বিদেশী অভিনেতাদের প্রভাব সম্পর্কে বাড়ছে উদ্বেগের প্রতিক্রিয়া হিসাবে দেখা হচ্ছে। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে, বিদেশী সরকার এবং সংস্থাগুলি সামাজিক মিডিয়াতে জনমত ম্যানিপুলেট করার চেষ্টা করার বেশ কয়েকটি প্রতিবেদন রয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসন ভুল তথ্যের বিস্তার এবং বিদেশী হস্তক্ষেপের মার্কিন গণতন্ত্রের উপর প্রভাব সম্পর্কে তার উদ্বেগ সম্পর্কে জোরালোভাবে কথা বলেছে।
শিল্পের বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে এই পদক্ষেপটি প্রযুক্তি শিল্পের জন্য উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। "এই পদক্ষেপটি একটি স্পষ্ট সংকেত পাঠায় যে মার্কিন সরকার মার্কিন সামাজিক মিডিয়াতে বিদেশী হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে একটি কঠোর অবস্থান নিচ্ছে," ব্রুকিংস ইনস্টিটিউশনের একজন প্রযুক্তি নীতি বিশেষজ্ঞ এমিলি চেন বলেছেন। "এটি বিদেশী অভিনেতাদের কার্যকলাপের উপর একটি শীতল প্রভাব ফেলবে, তবে এটি প্রযুক্তি শিল্পে সরকারী হস্তক্ষেপের সীমাবদ্ধতা সম্পর্কেও প্রশ্ন তুলছে।"
ভিসা নীতির বর্তমান অবস্থা অস্পষ্ট, তবে কর্মকর্তারা বলছেন যে এটি এখনও প্রয়োগ করা হবে। পররাষ্ট্র দফতর প্রবেশাধিকার থেকে বার করা ব্যক্তিদের বা তারা যে নির্দিষ্ট কার্যকলাপে জড়িত ছিল তার সম্পর্কে আরও কোনও তথ্য প্রকাশ করেনি। পরিস্থিতি চলতে থাকার সাথে সাথে, এটি দেখা বাকি আছে যে প্রযুক্তি শিল্প এবং বিদেশী সরকারগুলি নতুন ভিসা নীতির প্রতিক্রিয়া কীভাবে দেখাবে।
একটি বিবৃতিতে, হোয়াইট হাউস বলেছে যে এই পদক্ষেপটি বিদেশী হস্তক্ষেপ থেকে মার্কিন গণতন্ত্রকে রক্ষা করার জন্য একটি বিস্তৃত প্রচেষ্টার অংশ। "ট্রাম্প প্রশাসন তথ্যের মুক্ত প্রবাহ রক্ষা এবং বিদেশী অভিনেতাদের জনমতকে ম্যানিপুলেট করা থেকে বাধা দেওয়ার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ," একজন মুখপাত্র বলেছেন। "এই পদক্ষেপটি এই প্রচেষ্টার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।"
Discussion
Join the conversation
Be the first to comment