বেইজিং শুক্রবার ২০টি মার্কিন প্রতিরক্ষা-সংশ্লিষ্ট কোম্পানি এবং ১০ জন নির্বাহীর উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, যা ওয়াশিংটন আগের সপ্তাহে তাইওয়ানের কাছে বৃহৎ আকারের অস্ত্র বিক্রির ঘোষণার পরে করা হলো। চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে নিষেধাজ্ঞার মধ্যে রয়েছে চীনে কোম্পানিগুলোর সম্পদ জব্দ করা এবং ব্যক্তি ও সংস্থাগুলোকে তাদের সাথে ব্যবসা করা থেকে নিষিদ্ধ করা।
নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত সংস্থাগুলোর মধ্যে রয়েছে নর্থরপ গ্রুম্যান সিস্টেমস কর্পোরেশন, এল৩ হ্যারিস মেরিটাইম সার্ভিসেস এবং সেন্ট লুইসের বোয়িং। প্রতিরক্ষা সংস্থা অ্যান্ডুরিল ইন্ডাস্ট্রিজের প্রতিষ্ঠাতা পালমার লাকি নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত নির্বাহীদের মধ্যে রয়েছেন, যা তাকে চীনে ব্যবসা করা এবং দেশে প্রবেশ করা থেকে বিরত রাখবে। চীনের অভ্যন্তরে তার সম্পদও জব্দ করা হয়েছে।
এই নিষেধাজ্ঞা তাইওয়ানের কাছে ১০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি মূল্যের মার্কিন অস্ত্র বিক্রির প্রতিক্রিয়ায় সরাসরি নেওয়া হয়েছে। চীন তাইওয়ানকে তার নিজস্ব অঞ্চল হিসেবে দেখে এবং জোর দেয় যে এটি অবশ্যই তার নিয়ন্ত্রণে আসতে হবে। প্রস্তাবিত অস্ত্রের প্যাকেজ, যদি আমেরিকান কংগ্রেস কর্তৃক অনুমোদিত হয়, তবে এটি স্ব-শাসিত দ্বীপের কাছে সর্বকালের বৃহত্তম মার্কিন অস্ত্রের প্যাকেজ হবে।
চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তার অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে বলেছে, "আমরা আবারও জোর দিয়ে বলছি যে তাইওয়ান প্রশ্নটি চীনের মূল স্বার্থের কেন্দ্রবিন্দু এবং চীন-মার্কিন সম্পর্কের ক্ষেত্রে প্রথম রেড লাইন যা অতিক্রম করা উচিত নয়।"
এই পদক্ষেপ তাইওয়ানের মর্যাদা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনাকে তুলে ধরে। যুক্তরাষ্ট্র "কৌশলগত অস্পষ্টতার" নীতি বজায় রাখে, তাইওয়ানকে সামরিকভাবে রক্ষা করবে কিনা তা নিশ্চিত বা অস্বীকার করে না। চীন তাইওয়ানের কাছে যেকোনো মার্কিন অস্ত্র বিক্রিকে তার সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন হিসেবে দেখে।
নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত কোম্পানি এবং ব্যক্তিদের উপর নিষেধাজ্ঞার প্রভাব এখনও দেখার বিষয়। চীনে তাদের সম্পদ এবং ব্যবসায়িক লেনদেনের পরিমাণ আর্থিক প্রতিক্রিয়ার তীব্রতা নির্ধারণ করবে। এই পদক্ষেপটি মূলত প্রতীকী, যা তাইওয়ানের প্রতি মার্কিন নীতির প্রতি চীনের অসন্তোষ প্রদর্শন করে।
পরিস্থিতি এখনও পরিবর্তনশীল, এবং মার্কিন কংগ্রেস প্রস্তাবিত অস্ত্রের প্যাকেজটি বিবেচনা করার সাথে সাথে আরও উন্নয়নের প্রত্যাশা করা হচ্ছে। তাইওয়ান বিষয়ে তার স্বার্থ রক্ষায় প্রয়োজনে আরও পদক্ষেপ নেওয়ার অঙ্গীকার করেছে চীনা সরকার।
Discussion
Join the conversation
Be the first to comment