যুক্তরাষ্ট্র এই মাসে প্রকাশিত নতুন মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা কৌশল অনুসারে দক্ষিণ কোরিয়াকে পারমাণবিক সাবমেরিন দিয়ে সজ্জিত করতে প্রস্তুত। এই কৌশলটি মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির একটি পরিবর্তন সংকেত দেয়, যা তার মিত্রদের মধ্যে প্রতিরক্ষা burden বিতরণের দিকে একটি পদক্ষেপ নির্দেশ করে।
এই ঘোষণাটি আঞ্চলিক সম্মেলনের ফাঁকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে মিউং-এর মধ্যে অক্টোবরের শেষের দিকে অনুষ্ঠিত একটি বৈঠকের পরে আসে, যেখানে চুক্তিটি চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে জানা যায়। দক্ষিণ কোরিয়াকে পারমাণবিক সাবমেরিন দেওয়ার সিদ্ধান্তটি কৌশলটির মূল নীতির একটি সরাসরি বাস্তবায়ন: যুক্তরাষ্ট্র আর বিশ্ব ব্যবস্থার রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব এককভাবে বহন করবে না।
জাতীয় নিরাপত্তা কৌশলটিতে বলা হয়েছে, "আটলাসের মতো যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক পুরো বিশ্ব ব্যবস্থাকে টিকিয়ে রাখার দিন শেষ," যেখানে মিত্রদের তাদের নিজ নিজ প্রতিরক্ষায় আরও সক্রিয়ভাবে অবদান রাখার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
এই পদক্ষেপের পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য তাৎপর্যপূর্ণ প্রভাব রয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার নৌ সক্ষমতায় পারমাণবিক সাবমেরিনের অন্তর্ভুক্তি সম্ভাব্যভাবে এই অঞ্চলে ক্ষমতার ভারসাম্য পরিবর্তন করতে পারে, বিশেষ করে উত্তর কোরিয়া এবং চীনের ক্ষেত্রে। যদিও যুক্তরাষ্ট্র এই সিদ্ধান্তের পেছনের যুক্তি স্পষ্টভাবে জানায়নি, বিশ্লেষকরা মনে করেন যে এর লক্ষ্য উত্তর কোরিয়ার কাছ থেকে সম্ভাব্য আগ্রাসন প্রতিহত করা এবং ক্রমবর্ধমান আঞ্চলিক উত্তেজনার মুখে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা সক্ষমতা জোরদার করা।
পারমাণবিক সাবমেরিন প্রযুক্তির হস্তান্তর পারমাণবিক বিস্তার সম্পর্কেও প্রশ্ন তোলে। যদিও দক্ষিণ কোরিয়া পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন করছে না, তবে পারমাণবিক শক্তিচালিত জাহাজ পরিচালনার ক্ষমতা একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তিগত সুবিধা দেয় এবং এটি সম্ভাব্যভাবে তার দেশীয় প্রতিরক্ষা শিল্পের আরও উন্নতির দিকে নিয়ে যেতে পারে।
চুক্তির সুনির্দিষ্ট বিষয়, কী ধরনের সাবমেরিন সরবরাহ করা হবে এবং বিতরণের সময়সীমা সহ, এখনও প্রকাশ করা হয়নি। তবে, এনপিআর-এর অ্যান্টনি কুন সিউল থেকে জানিয়েছেন যে এই চুক্তিটি যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক তার নতুন জাতীয় নিরাপত্তা কৌশল বাস্তবায়নের একটি বাস্তব উদাহরণ। এই উন্নয়ন সম্ভবত এই অঞ্চলের অন্যান্য দেশগুলোর দ্বারা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে এবং সামরিক কৌশল ও জোটগুলোতে আরও সমন্বয়ের প্ররোচনা দিতে পারে।
Discussion
Join the conversation
Be the first to comment