মিয়ানমার প্রায় পাঁচ বছর আগে সামরিক অভ্যুত্থানের পর প্রথমবারের মতো রবিবার একটি নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে, যা এর বৈধতা ও ন্যায্যতা নিয়ে ব্যাপক উদ্বেগের মধ্যে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ক্ষমতাসীন সামরিক জান্তা দ্বারা আয়োজিত এই নির্বাচনকে সমালোচকরা "লোক দেখানো" নির্বাচন হিসেবে অভিহিত করেছেন এবং এটি ভয় ও ভীতির মধ্যে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
মান্দালয়ে, অংমায়থাযান নির্বাচনী এলাকার সামরিক-সমর্থিত ইউনিয়ন সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির (ইউএসডিপি) প্রার্থী অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট-জেনারেল তাইজা কিয়াও সম্প্রতি একটি নির্বাচনী সমাবেশ করেন। বিবিসি সাউথ ইস্ট এশিয়া সংবাদদাতা জোনাথন হেডের মতে, সমাবেশে ৩০০-৪০০ জন লোক অংশ নিয়েছিল, যাদের অনেককেই ব্র্যান্ডেড টুপি ও পতাকা পাওয়া সত্ত্বেও উদাসীন মনে হয়েছিল। হেড পর্যবেক্ষণ করেছেন যে কিছু অংশগ্রহণকারী সাম্প্রতিক ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার, সম্ভবত সহায়তার আশায় তারা এসেছিলেন। "আমরা ভোট দেব কিন্তু মন থেকে নয়," একজন বাসিন্দা হেডকে বলেন, যা অংশগ্রহণ করতে বাধ্য হওয়া অনেকের অনুভূতিকে তুলে ধরে।
প্রায় পাঁচ বছর আগে সামরিক বাহিনী একটি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে, নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে এবং অং সান সু চি সহ এর নেতাদের গ্রেপ্তার করে। আসন্ন নির্বাচনকে অনেকে সামরিক শাসনের বৈধতা দেওয়ার একটি প্রচেষ্টা হিসেবে দেখছেন। তবে, বিরোধী দল এবং আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা নির্বাচনী প্রক্রিয়ার ন্যায্যতা নিয়ে গুরুতর সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। প্রচারণার উপর বিধিনিষেধ, গণমাধ্যম সেন্সরশিপ এবং বিশিষ্ট বিরোধী ব্যক্তিত্বদের বাদ দেওয়ায় ভোটের বিশ্বাসযোগ্যতা আরও কমে গেছে।
সামরিক বাহিনীর ছায়া দল ইউএসডিপি নির্বাচনে ভালো ফল করবে বলে আশা করা হচ্ছে, কারণ তাদের বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে। তবে, এই নির্বাচন বৃহত্তর জনগোষ্ঠী বা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কর্তৃক গৃহীত হবে কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। নির্বাচনের ফলাফল এবং এর পরবর্তী প্রভাব মিয়ানমারের ভবিষ্যৎ এবং বিশ্বের সাথে এর সম্পর্কের জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে।
Discussion
Join the conversation
Be the first to comment