ইয়েমেনের প্রধান বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী সাউদার্ন ট্রানজিশনাল কাউন্সিল (এসটিসি)-এর বাহিনী দক্ষিণাঞ্চলীয় আবিয়ান প্রদেশে একটি সামরিক অভিযান শুরু করেছে, যার ফলে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। জোটটি জানিয়েছে যে তারা দক্ষিণ ইয়েমেনে উত্তেজনা প্রশমনের প্রচেষ্টাকে হুমকির মুখে ফেলে এমন যেকোনো বিচ্ছিন্নতাবাদী সামরিক পদক্ষেপের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।
সৌদি আরবের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খালিদ বিন সালমান শনিবার X-এ এক বার্তায় এসটিসি সৈন্যদের "বিচক্ষণতার পরিচয় দিতে" এবং সম্প্রতি দখল করা পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশগুলো থেকে শান্তিপূর্ণভাবে সরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। রিয়াদের এই আহ্বান ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা এবং অঞ্চলে আরও সংঘাতের সম্ভাবনাকে তুলে ধরে।
দক্ষিণ ইয়েমেনের স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম করা এসটিসি, জটিল ইয়েমেনী সংঘাতের একটি গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়। সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট, যা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ইয়েমেনী সরকারকে সমর্থন করে, এসটিসির অগ্রগতিকে চলমান শান্তি উদ্যোগের একটি ব্যাঘাত হিসেবে দেখে। বর্তমান পরিস্থিতি ইয়েমেনে একটি দীর্ঘস্থায়ী সমাধান অর্জনের ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জগুলো তুলে ধরে, যেখানে একাধিক পক্ষ ক্ষমতার জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।
ইয়েমেনের সংঘাত বহু বছর ধরে চলছে, যা একটি মানবিক সংকট তৈরি করেছে। সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট ২০১৫ সালে হুতি বিদ্রোহীদের দ্বারা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর সরকারকে পুনরুদ্ধারের জন্য হস্তক্ষেপ করে। হুতিরা উত্তর ইয়েমেনের বেশিরভাগ অংশ নিয়ন্ত্রণ করে। এসটিসি, আনুষ্ঠানিকভাবে হুথিদের বিরুদ্ধে সরকারের সাথে মিত্র হলেও, তাদের নিজস্ব স্বতন্ত্র এজেন্ডা এবং আঞ্চলিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা রয়েছে।
ইয়েমেনী সরকার ও হুথিদের মধ্যে বন্দী বিনিময় চুক্তি সহ ইয়েমেনের অন্যান্য ঘটনার মধ্যে উত্তেজনা কমানোর আহ্বান জানানো হয়েছে। তবে, এসটিসির পদক্ষেপ এবং সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের প্রতিক্রিয়া ইতিমধ্যে জটিল রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে আরও একটি স্তর যুক্ত করেছে। পরিস্থিতি এখনও পরিবর্তনশীল, যেখানে আরও সামরিক উত্তেজনা বা নতুন করে কূটনৈতিক প্রচেষ্টার সম্ভাবনা রয়েছে।
Discussion
Join the conversation
Be the first to comment