একজন ইউক্রেনীয় সৈন্য, সার্জেন্ট সের্হি টিশচেঙ্কো, একটানা ৪৭২ দিন সম্মুখসারিতে কাটিয়েছেন। কিয়েভের কাছে একটি স্যাঁতসেঁতে বাঙ্কারে তিনি অবিরাম গোলাগুলির মধ্যে ছিলেন। টিশচেঙ্কোর দীর্ঘ মোতায়েন ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা তুলে ধরে।
টিশচেঙ্কো প্রথমে এক বা দুই মাসের একটি সংক্ষিপ্ত ঘূর্ণনের আশা করেছিলেন। পরিবর্তে, তিনি এক বছরের বেশি সময় ধরে ভূগর্ভে ছিলেন, সূর্যালোক এবং তাজা বাতাস থেকে বঞ্চিত। দীর্ঘদিনের এই বিচ্ছিন্নতা তাঁর মানসিক অবস্থার ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলেছিল।
সামরিক বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেছেন যে দীর্ঘ ঘূর্ণন সৈন্যদের মনোবল কমিয়ে দেয়। এটি মানসিক ক্ষতি, অবসাদ এবং পলায়ন করার ঝুঁকি বাড়ায়। ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী সমস্যাটি স্বীকার করেছে এবং এটি সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
সেনাবাহিনীর ঘাটতি এবং ড্রোন নজরদারি সমস্যাটিকে আরও বাড়িয়ে তোলে। ড্রোনগুলি সনাক্তকরণ ছাড়া সৈন্যদের চলাচল প্রায় অসম্ভব করে তুলেছে। এটি দীর্ঘ মোতায়েন এবং সৈন্যদের উপর বর্ধিত চাপের কারণ হয়।
ইউক্রেনীয় সামরিক বাহিনী শীঘ্রই নতুন ঘূর্ণন নীতি ঘোষণা করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই নীতিগুলির লক্ষ্য হল সম্মুখসারির সৈন্যদের উপর থেকে চাপ কমানো। এর উদ্দেশ্য হল সৈন্যদের অবসাদ রোধ করা এবং যুদ্ধের কার্যকারিতা বজায় রাখা।
Discussion
Join the conversation
Be the first to comment