থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে শনিবার থেকে যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে, যা কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা মারাত্মক সীমান্ত সংঘর্ষ বন্ধ করেছে। এই চুক্তির লক্ষ্য প্রায় দশ লক্ষ বাস্তুচ্যুত বেসামরিক নাগরিককে তাদের বাড়িঘরে ফিরতে দেওয়া। থাইল্যান্ডের চান্থাবুরি প্রদেশের একটি সীমান্ত চৌকিতে উভয় দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী এই চুক্তি চূড়ান্ত করেন।
স্থানীয় সময় দুপুর বারোটা (05:00 GMT) থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। থাইল্যান্ড ৭২ ঘণ্টা একটানা শান্তি বজায় থাকার পর জুলাই মাস থেকে আটক ১৮ জন কম্বোডিয়ার সেনাকে মুক্তি দেবে। চুক্তিতে বর্তমান ফ্রন্ট লাইন ফ্রিজ করা, সেনা বৃদ্ধি নিষিদ্ধ করা এবং ল্যান্ডমাইন অপসারণ করা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
বাস্তুচ্যুত বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপদ প্রত্যাবর্তনই এখন প্রধান অগ্রাধিকার। চীন ও আমেরিকা আলোচনা চলাকালীন কূটনৈতিক সহায়তা প্রদান করেছে। এই সংঘাতের ফলে উভয় পক্ষেই উল্লেখযোগ্য বিশৃঙ্খলা ও হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
বিতর্কিত সীমান্ত এলাকা নিয়ে উত্তেজনা দেখা দেয়। এই এলাকায় ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটPreah Vihear মন্দির অবস্থিত। গত কয়েক বছরে বিক্ষিপ্তভাবে পূর্বেও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
উভয় দেশ এখন যুদ্ধবিরতির শর্তাবলী বাস্তবায়নের দিকে মনোনিবেশ করবে। দীর্ঘমেয়াদী সীমান্ত চিহ্নিতকরণের বিষয়ে আরও আলোচনার প্রত্যাশা করা হচ্ছে। এই চুক্তির সাফল্য উভয় পক্ষের sustained commitment-এর উপর নির্ভরশীল।
Discussion
Join the conversation
Be the first to comment