আবহাওয়াবিদ লাইথ আল-আল্লামি আনাদোলুকে জানান, এই শীতে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে আঘাত হানা তৃতীয়বারের মতো এমন আবহাওয়ার ঘটনা এটি। সোমবার থেকে চতুর্থ আরেকটি সিস্টেম আসার সম্ভাবনা রয়েছে। ইসরায়েলের দুই বছরের বোমা হামলায় বাস্তুচ্যুত হওয়া ফিলিস্তিনিদের দুর্ভোগ আরও বাড়িয়ে তুলেছে এই একের পর এক আসা ঝড়, যা গাজা উপত্যকার বেশিরভাগ অংশ ধ্বংস করে দিয়েছে।
চলমান সংঘাতের কারণে অনেক পরিবার অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে বসবাস করছে, যা তাদের প্রকৃতির বিরূপ প্রভাবের শিকার করছে। পর্যাপ্ত আবাসন ও অবকাঠামোর অভাবে তারা মারাত্মক আবহাওয়ার প্রভাবের জন্য বিশেষভাবে ঝুঁকিপূর্ণ। সীমিত সম্পদ এবং মানবিক সহায়তার অভাব পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।
আল জাজিরা নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, বন্যায় তাঁবু এবং জিনিসপত্রের ক্ষতি হয়েছে, পরিবারগুলো ঠান্ডা ও স্যাঁতসেঁতে পরিবেশে থাকতে বাধ্য হচ্ছে। ধ্বংসাবশেষ জমে যাওয়ায় চলাচল আরও কঠিন হয়ে পড়েছে এবং এটি স্বাস্থ্যের ঝুঁকি তৈরি করছে। এই কারণগুলোর সংমিশ্রণ বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের জন্য একটি অনিশ্চিত এবং চ্যালেঞ্জিং পরিবেশ তৈরি করেছে।
জাতিসংঘ এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করার জন্য কাজ করছে। তবে, প্রয়োজনের মাত্রা বিশাল, এবং চলমান সংঘাত ত্রাণ প্রচেষ্টাকে ব্যাহত করছে। আসন্ন পোলার লো-প্রেসার সিস্টেম আরও বৃষ্টি এবং বাতাস নিয়ে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে, যা গাজার বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের জন্য পরিস্থিতি আরও খারাপ করতে পারে।
Discussion
Join the conversation
Be the first to comment