একটি ফেডারেল বিচারক ডিজিটাল হেট (সিসিডিএইচ)-এর মোকাবিলা কেন্দ্রের সিইও ইমরান আহমেদকে গ্রেপ্তার বা নির্বাসন করা থেকে ট্রাম্প প্রশাসনকে সাময়িকভাবে বাধা দিয়েছেন। এই সপ্তাহের শুরুতে স্টেট ডিপার্টমেন্ট আহমেদ এবং অন্য চার গবেষক ও নিয়ন্ত্রকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে বাধা দেওয়ার পরে এই আদেশ আসে। সেক্রেটারি অফ স্টেট মার্কো রুবিও তাদের বিরুদ্ধে আমেরিকান প্ল্যাটফর্মগুলোকে বিরোধী দৃষ্টিভঙ্গি সেন্সর করতে বাধ্য করার অভিযোগ করেছেন।
যুক্তরাজ্যের নাগরিক এবং ইউ.এস. গ্রিন কার্ডধারী আহমেদ তার আমেরিকান স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করেন। তিনি সিসিডিএইচ-এর নেতৃত্ব দেন, যা অনলাইন অপব্যবহার এবং ভুল তথ্য নিয়ে গবেষণা করে। স্টেট ডিপার্টমেন্টের এই পদক্ষেপ কার্যকরভাবে আহমেদকে যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগ করলে পুনরায় প্রবেশে বাধা দেবে।
সিসিডিএইচ-এর কাজ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম জুড়ে বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য এবং ভুল তথ্য চিহ্নিতকরণ ও মোকাবিলার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছে। পিবিএস নিউজের সাথে কথা বলার সময় আহমেদ সরকারের এই পদক্ষেপকে মেটা, ওপেনএআই এবং ইলন মাস্কের এক্স-এর মতো সংস্থাগুলোর ক্ষতিকারক বিষয়বস্তুর দায় এড়ানোর চেষ্টা হিসেবে অভিহিত করেছেন।
এর আগে এক্স সিসিডিএইচ-এর বিরুদ্ধে মামলা করেছিল, অভিযোগ করেছিল যে সংস্থাটির গবেষণা তার বিজ্ঞাপনের রাজস্বের ক্ষতি করেছে। গত বছর সেই মামলা খারিজ হয়ে যায়, তবে এক্স-এর একটি আপিল বিচারাধীন রয়েছে। এই মামলাটি প্ল্যাটফর্মের জবাবদিহিতা এবং বিষয়বস্তু নিরীক্ষণ নীতি সম্পর্কিত চলমান বিতর্ককে তুলে ধরেছে।
এই অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা আহমেদকে তাৎক্ষণিক সুরক্ষা প্রদান করে। আইনি লড়াই অব্যাহত থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে, যা সম্ভবত অনলাইন বিষয়বস্তুর উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করা গবেষক এবং সংস্থাগুলোর প্রতি মার্কিন সরকার কেমন আচরণ করে তার একটি নজির স্থাপন করবে। আদালত এখন আরও স্থায়ী নিষেধাজ্ঞার জন্য যুক্তিতর্ক বিবেচনা করবে।
Discussion
Join the conversation
Be the first to comment