থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া শনিবার ৭২ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে, যা ২০ দিনের সীমান্ত যুদ্ধের সম্ভাব্য সমাপ্তি ঘটাতে পারে। এই নৃশংস সংঘাতে কয়েক ডজন মানুষ প্রাণ হারিয়েছে এবং কয়েক লক্ষ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। উভয় দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রীরা উত্তেজনাকর আলোচনার পর এই চুক্তির ঘোষণা দেন। যুদ্ধবিরতি শনিবার দুপুর ১২টায় শুরু হয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীন উভয় দেশকেই যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য চাপ দিয়েছে। থাইল্যান্ড যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার পর জুলাই মাসে আটক ১৮ জন কম্বোডিয়ার সৈন্যকে মুক্তি দিতে রাজি হয়েছে। উভয় দেশ তাদের অভিন্ন সীমান্ত বরাবর ল্যান্ড মাইন অপসারণ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
থাইল্যান্ডের প্রতিরক্ষামন্ত্রী নাত্তাফোন নার্কফানিট এই যুদ্ধবিরতিকে স্থায়ী শান্তির জন্য "পরীক্ষার সময়" বলে অভিহিত করেছেন। ৭২ ঘণ্টার এই সময়কাল পর্যবেক্ষণ করা হবে।
থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যেকার সীমান্ত অঞ্চলটি কয়েক দশক ধরে উত্তেজনার উৎস। অঞ্চল এবং ঐতিহাসিক দাবি নিয়ে বিরোধগুলি পর্যায়ক্রমিক সংঘর্ষের জন্ম দেয়। বর্তমান সংঘাতটিতে ভারী কামান ব্যবহার করা হয়েছে এবং এর ফলে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বেসামরিক লোক বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
উভয় দেশ যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণ করবে। এই যুদ্ধবিরতির সাফল্য একটি স্থায়ী সমাধানের জন্য ভবিষ্যতের আলোচনা নির্ধারণ করবে।
Discussion
Join the conversation
Be the first to comment