মারাত্মক সংঘর্ষের কয়েক সপ্তাহ পর থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর
থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে, যার ফলে মারাত্মক সীমান্ত সংঘর্ষ কয়েক সপ্তাহ ধরে বন্ধ রয়েছে এবং প্রায় দশ লক্ষ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। উভয় দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের মধ্যে হওয়া চুক্তিটির লক্ষ্য হল উত্তেজনা কমানো এবং বেসামরিক নাগরিকদের তাদের বাড়িতে ফিরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া।
স্থানীয় সময় দুপুর বারোটায় (05:00 GMT) যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। একটি যৌথ বিবৃতি অনুসারে, প্রতিরক্ষা মন্ত্রীরা ফ্রন্ট লাইনগুলি ফ্রিজ করতে, কোনো প্রকার reinforcement নিষিদ্ধ করতে এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বেসামরিক নাগরিকদের সীমান্ত এলাকায় ফিরে যাওয়ার সুবিধা দিতে সম্মত হয়েছেন।
কম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী টিয়া সেইহা এবং থাইল্যান্ডের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী নাট্টাফন নার্কফানিটের উপস্থিতিতে থাইল্যান্ডের চান্থাবুরি প্রদেশের একটি সীমান্ত চৌকিতে বিশেষ বৈঠকের সময় এই চুক্তিটি হয়েছিল।
উত্তেজনা হ্রাস এবং বাস্তুচ্যুত বেসামরিক নাগরিকদের প্রত্যাবর্তনের পাশাপাশি, চুক্তিটি ভূমি মাইন অপসারণের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে। যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করা হলে থাইল্যান্ড আত্মরক্ষার অধিকার রাখে।
সাম্প্রতিক সংঘাতের কারণে প্রায় দশ লক্ষ মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে। চুক্তিটি সংঘাত নিরসনে আন্তর্জাতিক কূটনীতির ভূমিকা এবং সশস্ত্র সংঘাতের পরে মানবিক প্রচেষ্টার গুরুত্বের উপর আলোকপাত করে। চীন ও আমেরিকার কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় এই চুক্তিটি সহজ হয়েছে।
Discussion
Join the conversation
Be the first to comment