সাতজন প্রার্থী রাষ্ট্রপতি পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, যার মধ্যে রয়েছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অ্যানিসেট জর্জেস ডোলোগেলে এবং হেনরি-মারি ডোন্ড্রা। ডোলোগেলে এবং ডোন্ড্রা উভয়কেই প্রথমে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে বাধা দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু পরে সাংবিধানিক আদালত তাঁদের ছাড়পত্র দেয়। ডোলোগেলে ২০১৫ এবং ২০২০ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছিলেন, যেখানে ডোন্ড্রা কিছু সময়ের জন্য টুয়াডেরার অধীনে কাজ করেছেন।
বিরোধী দল আশা প্রকাশ করেছে যে, তারা এমন একটি দেশে বসবাসকারী নাগরিকদের হতাশার সুযোগ নিতে পারবে, যেখানে সংঘাত একটি স্থায়ী বাস্তবতা। সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক বছরের পর বছর ধরে অস্থিরতা ও সহিংসতা নিয়ে সংগ্রাম করছে, বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠী বিভিন্ন অঞ্চলে নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।
এই নির্বাচন চলমান নিরাপত্তা উদ্বেগ এবং অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মধ্যে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। টুয়াডেরার সরকার নিরাপত্তা পরিস্থিতি সামাল দেওয়া এবং রাশিয়ার ওয়াগনার গ্রুপের ভাড়াটে সৈন্যদের উপস্থিতিসহ বিদেশি সহায়তার উপর নির্ভর করার জন্য সমালোচিত হয়েছে। এই ভাড়াটে সৈন্যদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে, যা সরকার অস্বীকার করে।
রাষ্ট্রপতির সমর্থকরা বলছেন যে, তিনি দেশে স্থিতিশীলতা এনেছেন এবং অবকাঠামো ও জনসেবার উন্নতির জন্য কাজ করেছেন। তবে তার বিরোধীরা বলছেন যে, তিনি সংঘাতের মূল কারণগুলো সমাধানে ব্যর্থ হয়েছেন এবং ক্রমশ স্বৈরাচারী হয়ে উঠেছেন।
নির্বাচনের ফলাফল আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ঘোষণা করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই নির্বাচনের ফলাফল সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকের ভবিষ্যৎ, বিশেষ করে এর নিরাপত্তা, শাসন এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং একটি স্বচ্ছ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনী প্রক্রিয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
Discussion
Join the conversation
Be the first to comment