কিয়েভ একটি বিশাল রুশ আক্রমণে টালমাটাল। শনিবারের এই হামলায় কিয়েভ এবং এর আশেপাশের অঞ্চলে কমপক্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন। প্রায় ৫০০টি ড্রোন এবং ৪০টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে।
এই হামলায় জ্বালানি এবং বেসামরিক অবকাঠামোকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি যখন ফ্লোরিডায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাথে দেখা করতে যাচ্ছিলেন, তখন এই ঘটনা ঘটে। প্রায় চার বছর ধরে চলা যুদ্ধ শেষ করার একটি পরিকল্পনা তৈরি করাই ছিল এই বৈঠকের উদ্দেশ্য।
এতে কমপক্ষে ৪৬ জন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে দুটি শিশুও রয়েছে। ইউক্রেন জুড়ে জ্বালানি স্থাপনাগুলোতে আঘাত করা হয়েছে। ইউক্রেনার্গো রাজধানী জুড়ে জরুরি ভিত্তিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে। ডিটিইকে জানিয়েছে যে দশ লক্ষেরও বেশি গ্রাহক বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় আছেন।
এই সর্বশেষ হামলাটি সংঘাতের ক্ষেত্রে এআই-চালিত ড্রোন যুদ্ধের উপর নির্ভরতাকেই তুলে ধরে। হামলার ব্যাপকতা অত্যাধুনিক এআই লক্ষ্য নির্বাচনকেই ইঙ্গিত করে। বিশেষজ্ঞরা এই অস্ত্রগুলোকে ক্রমবর্ধমান স্বায়ত্তশাসন দেওয়া নিয়ে উদ্বিগ্ন। এটি জবাবদিহিতা এবং বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা সম্পর্কে নৈতিক প্রশ্ন তোলে।
জেলেনস্কি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাথে এই হামলার বিষয়ে কথা বলবেন বলে আশা করা হচ্ছে। ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা জোরদার করার দিকেই মূল নজর থাকবে। আন্তর্জাতিক মহল প্রস্তাবিত শান্তি পরিকল্পনার বিস্তারিত জানার জন্য অপেক্ষা করছে।
Discussion
Join the conversation
Be the first to comment