যুক্তরাজ্য ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অফ কঙ্গোর (ডিআরসি) উপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, যার কারণ হিসেবে তারা নথিপত্রবিহীন অভিবাসী এবং অপরাধে দণ্ডিত ব্যক্তিদের ফেরত পাঠানোর ক্ষেত্রে সহযোগিতার অভাবের কথা উল্লেখ করেছে। স্বরাষ্ট্র দফতর শনিবার গভীর রাতে অ্যাঙ্গোলা এবং নামিবিয়ার সাথে নিজ নিজ দেশের নাগরিকদের প্রত্যাবাসন বাড়ানোর জন্য চুক্তির ঘোষণার পাশাপাশি এই পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করেছে।
স্বরাষ্ট্র দফতরের বিবৃতি অনুসারে, ডিআরসির উপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা কঙ্গোর সরকারের অভিবাসী ফেরত পাঠানো সংক্রান্ত যুক্তরাজ্যের নতুন নীতিগুলির সাথে সহযোগিতা করতে ব্যর্থ হওয়ার প্রতিক্রিয়ায় সরাসরি নেওয়া হয়েছে। ভিসা নিষেধাজ্ঞার নির্দিষ্ট প্রকৃতি ঘোষণায় বিস্তারিতভাবে জানানো হয়নি।
অ্যাঙ্গোলা এবং নামিবিয়ার সাথে চুক্তিগুলি স্বরাষ্ট্রসচিব শাবানা মাহমুদের যুক্তরাজ্যের আশ্রয় ব্যবস্থার বৃহত্তর সংস্কারের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, যা প্রাথমিকভাবে গত মাসে উন্মোচন করা হয়েছিল। এই সংস্কারগুলির লক্ষ্য হল শরণার্থীর মর্যাদা অস্থায়ী করা এবং আশ্রয় প্রার্থনার প্রক্রিয়াকরণের দক্ষতা বৃদ্ধি করা। মাহমুদ গত মাসে বলেছিলেন যে যুক্তরাজ্যের সীমান্তগুলির অখণ্ডতা নিশ্চিত করতে এবং প্রকৃত শরণার্থীদের অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য এই সংস্কারগুলি প্রয়োজনীয় ছিল।
যুক্তরাজ্য তার সীমানার মধ্যে নথিপত্রবিহীন অভিবাসীর সংখ্যা মোকাবেলার জন্য ক্রমবর্ধমান চাপের সম্মুখীন হয়েছে। সরকার যুক্তি দিয়েছে যে যারা যুক্তরাজ্যে থাকার অধিকারী নয়, তাদের ফেরত পাঠানো একটি ন্যায্য এবং কার্যকর অভিবাসন ব্যবস্থা বজায় রাখার জন্য অপরিহার্য। তবে সমালোচকরা দুর্বল ব্যক্তি এবং এই ধরনের নীতির মানবাধিকারের উপর সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
অ্যাঙ্গোলা এবং নামিবিয়ার সাথে চুক্তিগুলি ব্যক্তিদের জাতীয়তা যাচাই করার প্রক্রিয়া সহজতর করতে এবং তাদের প্রত্যাবর্তনের জন্য প্রয়োজনীয় ভ্রমণ নথি ইস্যু করার প্রতিশ্রুতি দেয়। এই চুক্তিগুলি সুরক্ষিত করার জন্য অ্যাঙ্গোলা এবং নামিবিয়াকে কোনও নির্দিষ্ট প্রণোদনা দেওয়া হয়েছিল কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
স্বরাষ্ট্র দফতর এখনও ডিআরসির কতজন নাগরিক বর্তমানে নির্বাসন আদেশের অধীনে রয়েছেন, সেই বিষয়ে নির্দিষ্ট কোনও তথ্য প্রকাশ করেনি। ভিসা নিষেধাজ্ঞার বাস্তবায়ন এবং অ্যাঙ্গোলা ও নামিবিয়ার সাথে চুক্তির কর্মক্ষম দিকগুলি সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে প্রকাশ করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই পদক্ষেপ মানবাধিকার সংস্থা এবং বিরোধী দলগুলির সমালোচনার সম্মুখীন হতে পারে, যারা ইতিমধ্যেই স্বরাষ্ট্রসচিবের আশ্রয় সংস্কারের বৃহত্তর প্রভাব সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
Discussion
Join the conversation
Be the first to comment