শনিবার রাশিয়ার বিশাল আক্রমণে কিয়েভ টালমাটাল। প্রায় ৫০০টি ড্রোন ও ৪০টি ক্ষেপণাস্ত্রের সমন্বয়ে চালানো এই হামলায় অন্তত দুইজন নিহত হয়েছেন। দুই শিশুসহ আরও ৪৬ জন আহত হয়েছেন।
হামলাগুলো মূলত জ্বালানি ও বেসামরিক অবকাঠামোতে চালানো হয়েছে। ইউক্রেনারগো জানিয়েছে, জ্বালানি স্থাপনাগুলোতে ব্যাপক আঘাত করা হয়েছে। কিয়েভে জরুরি ভিত্তিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ডিটিইকের মতে, দশ লক্ষেরও বেশি মানুষ বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় রয়েছে।
হামলাটি যখন হয়, তখন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি ফ্লোরিডায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছিলেন। প্রায় চার বছর ধরে চলা এই যুদ্ধ বন্ধ করার একটি পরিকল্পনা তৈরি করাই ছিল এই বৈঠকের উদ্দেশ্য। জেলেনস্কি এই হামলাগুলোর নিন্দা জানিয়েছেন এবং এগুলোকে ইচ্ছাকৃত আগ্রাসন বলে অভিহিত করেছেন।
রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে সংঘাত শুরু হয়েছিল ২০২২ সালের প্রথম দিকে। এটি একটি দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধে পরিণত হয়েছে, যার উল্লেখযোগ্য বৈশ্বিক প্রভাব রয়েছে। এই হামলাগুলোতে এআই-চালিত ড্রোনের ব্যবহার স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র ব্যবস্থা নিয়ে উদ্বেগ বাড়িয়েছে। বিশেষজ্ঞরা যুদ্ধক্ষেত্রে এআই ব্যবহারের নৈতিক ও কৌশলগত প্রভাব নিয়ে বিতর্ক করছেন। এআই অ্যালগরিদমগুলো ক্রমবর্ধমানভাবে লক্ষ্য নির্ধারণ এবং অনুসন্ধানের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে, যা সম্ভাব্যভাবে সংঘাতকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।
ট্রাম্পের সঙ্গে জেলেনস্কির বৈঠকটি এখন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্ব তাদের প্রস্তাবিত উত্তেজনা প্রশমনের পরিকল্পনা এবং শান্তির সম্ভাব্য পথের বিস্তারিত জানার অপেক্ষায় রয়েছে। ইউক্রেনের পক্ষ থেকে আরও প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপের প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
Discussion
Join the conversation
Be the first to comment